সোনারগাঁয়ে প্রতিমন্ত্রী, ‘সময়ের কাজ সময়ে হয়েছে’

প্রকাশিত


বরিশালে প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের মুখোমুখি অবস্থানের পর এর সমঝোতার ব্যাপারে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি বলেন, সময়ের কাজ সময়ে হয়েছে। বিষয়টি আন্তরিকতার সাথেই সমাধান হয়েছে। তিনি আজ বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন ও পানাম নগরী পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।

‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের অগ্রগতি দেখে হতাশা ব্যক্ত করেছেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে চলমান কাজের অগ্রগতি পরিদর্শন করেন প্রতিমন্ত্রী। ১২ মাস মেয়াদের প্রকল্পে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ৫ মাসে মাত্র ৫ শতাংশ কাজ করেছেন বলে প্রকল্প প্রতিবেদন দেখে তিনি হতাশা ব্যক্ত করেন। ২১ শে আগস্ট গ্রেনেড হামলার ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের এ বছরের মধ্যেই বিচার কাজ সম্পন্ন হবে জানান।

পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন, সংস্কৃতি মন্ত্রনালয়ের সচিব আবুল মনসুর, বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের পরিচালক আহমেদ উল্লাহ, সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আতিকুল ইসলাম, ফাউন্ডেশনের উপ-পরিচালক রবিউল ইসলাম, সোনারগাঁ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) শফিকুল ইসলাম প্রমূখ।

জানা যায়, সোনারগাঁয়ে বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য সাংস্কৃতিক জোন তৈরিসহ সরকার দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জ গণপূর্ত বিভাগের দায়িত্বে ‘বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের জাদুঘর ভবন সম্প্রসারণ এবং অন্যান্য ভৌত অবকাঠামো নির্মাণ’ প্রকল্পের বাস্তবায়ণ করা হচ্ছে। চলতি বছরের ৩১ মার্চ ৮৯ কোটি ১৭ লাখ টাকায় প্রকল্পের কার্যাদেশ পেয়েছেন ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান আতাউর রহমান খান লিঃ ও মাহাবুব ব্রাদার্স (প্রাঃ) লিঃ। কার্যাদেশ অনুযায়ী ১ বছরের মধ্যে কাজ সম্পূর্ণ করে ফাউন্ডেশনের কাছে হস্তান্তরের নির্দেশ থাকলেও ৫ মাসে ৫ শতাংশ কাজ করতে পেরেছে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান।

ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি ফারুক আহমেদ জানান, করোনাকালীন সময়ে প্রকল্পের কাজের কার্যাদেশ পাওয়ায় কাজের অগ্রগতি কম হয়েছে। কাজের অগ্রগতির ব্যাপারে ঠিকাদারের প্রকৌশলী জামান বলেন, আমরা এখনো পর্যন্ত কাজ বুঝে পাই নাই, এখনো পর্যন্ত ড্রয়িং ডিজাইন দিতে পারেনি গণপূর্ত মন্ত্রণালয়। এমনকি দুটি ভবন কোথায় হবে সে স্থান পর্যন্ত নির্ধারন করতে পারেননি। তাহলে অগ্রগতি কিভাবে হবে ?

এ ব্যাপারে প্রতিমন্ত্রী কেএম খালিদ এমপি কালের কন্ঠকে জানান, ৫ মাসে যদি ৫% কাজ করে তাহলে ১০০% কাজ করতে ১শ মাস লাগবে। এভাবে কাজ করলে তারা সঠিক সময়ে প্রকল্পের কাজ শেষ করতে পারবে না। ড্রয়িং, ডিজাইনের ব্যাপারে তিনি বলেন, তারা কাজে পিছিয়ে গেছে তাই আত্মপক্ষ সমর্থনের একটা সুযোগ খুঁজছে। ড্রয়িং, ডিজাইনের কাজের পর্যায়ে তারা পৌঁছায়নি। পানাম নগরের ব্যাপারে তিনি বলেন, সেখানে আরো ৪টি ভবন সংস্কার করা হবে। ইতিমধ্যে ১৩ নাম্বার ভবনের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। সে কাজটি পুরনো ভবনের আদলে চমৎকার কাজ হয়েছে। বরিশালে প্রশাসন ও রাজনীতিবিদদের মুখোমুখি অবস্থানের পর এর সমাধানের ব্যাপারে বলেন, সময়ের কাজ সময়ে হয়েছে। বিষয়টি আন্তরিকতার সাথেই সমাধান হয়েছে।

আপনার মতামত জানান