নারায়ণগঞ্জে বাস ছাড়া সবই চলে

প্রকাশিত

কঠোর বিধিনিষেধ ঘোষণার দিন যতই যাচ্ছে বাস্তবায়ন যেন ততই শিথিল হয়ে পড়ছে। লকডাউন শুরুর দিকে নারায়ণগঞ্জের সড়কে যানবাহনের সংখ্যা কম থাকলেও এখন বাস ছাড়া সব ধরনের পরিবহনই দেখা যাচ্ছে। একইসঙ্গে সড়কে বেড়েছে সাধারণ মানুষের চলাচল।

এরই মধ্যে রোববার (১ আগস্ট) থেকে খুলে দেয়া হয়েছে শিল্পকারখানা। এ ঘোষণার পর থেকেই শিল্পাঞ্চলখ্যাত নারায়ণগঞ্জে ফিরতে শুরু করেছে বিভিন্ন জেলার মানুষজন। বাস চালু না থাকলেও বিকল্প পরিবহনে মানুষজন নারায়ণগঞ্জে প্রবেশ করছেন।

করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধে গত ২৩ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট মধ্যরাত পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধের ঘোষণা করেছে সরকার। কিন্তু এ বিধিনিষেধ শেষ হওয়ার আগেই যেন সবকিছু স্বাভাবিক হচ্ছে নারায়ণগঞ্জে।

শনিবার (৩১ জুলাই) সরেজমিনে শহরের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে যাত্রীবাহী বাস বন্ধ থাকলেও ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি, মোটরসাইকেল সবই চলছে। পুলিশের চেক পোস্টে কড়াকড়িও কমে গেছে। মানুষজন অপ্রয়োজনেও বাসা থেকে বের হচ্ছেন।

বিকেলে নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, প্রধান সড়কে যাত্রীবাহী বাস নেই। ব্যক্তিগত গাড়ি, রিকশা, সিএনজি ও মোটরসাইকেলের বেশ চাপ। কোনো কোনো স্থানে স্বাভাবিক সময়ের মতোই পুলিশের ট্রাফিকিং কার্যক্রম চলছে।

সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রবেশপথ সাইনবোর্ড ও চিটাগাং রোড এবং বিকেলে চাষাঢ়া, ২নং রেলগেট, ১নং রেলগেট, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ পুরাতন সড়কের পঞ্চবটি ও ফতুল্লাসহ গুরুত্বপূর্ণ চেক পোস্টে যানবাহনের চাপ দেখা গেছে। বিগত কয়েক দিনের তুলনায় এদিন যানবাহনের উপস্থিতি ছিল অনেক বেশি।

লকডাউনের শুরুর দিকে সড়কে চলাচলরত রিকশা ও সিএনজিচালিত অটোরিকশায় একজন করে যাত্রী পরিবহন করতে দেখা গেলেও এদিন থেকে দু-তিনজন যাত্রী নিতে দেখা যায়।

শহরের চাষাঢ়া এলাকার চেকপোস্টে দায়িত্বে থাকা এক পুলিশ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, কঠোর বিধিনিষেধের মধ্যে সবাই কষ্টে রয়েছেন। যাদের আটকানো হয় তাদের কষ্টের কথা শোনার পর আটকে রাখতে পারি না। সরকারি বিধিনিষেধ থাকা সত্ত্বেও বিবেকের তাড়নায় ছেড়ে দিতে হয়। কাকে রেখে কাকে আটকে রাখবো।

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (ট্রাফিক) সালেহ উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখতে আমরা চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। প্রতিদিনই মামলা দেয়া হচ্ছে। এরপরও মানুষ বিভিন্ন পরিবহনে বের হচ্ছে। সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে মানুষকে সচেতন হতে হবে। সচেতন না হলে যত বিধিনিষেধ জারি করা হোক না কেন আটকে রাখা যাবে না। এরই মধ্যে গার্মেন্টস খুলে দেয়া হয়েছে। ফলে মানুষ যে যেভাবে পারছে আসছেন। চেকপোস্টের সামনে এসে নেমে যাচ্ছে। যানবাহন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।’

আপনার মতামত জানান