করোনা আতঙ্ক উপক্ষো করে জাপার প্রতিবাদ সমাবেশ
জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক হাতুড়াঘাতে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে আনন্দ মিছিল করার অভিযোগে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জাতীয় পার্টির স্থানীয় এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার প্রতি নিন্দা, ধিক্কার ও ঘটনায় জড়িত সকলের শাস্তির দাবীতে মানববন্ধন করেছে উপজেলা ও জেলা আওয়ামী লীগ। এদিকে এমপি খোকার শাস্তির দাবীতে নারায়ণগঞ্জ জেলা পরিষদের সকল কর্মকর্তা, কর্মচারী তিনদিনের কর্মবিরতি পালন করছেন। ঘটনাটি ষড়যন্ত্রমূলক দাবী করে সোনারগাঁ উপজেলা ও পৌর জাতীয় পার্টি গতকাল একটি প্রতিবাদ সমাবেশ করে। সমাবেশ থেকে আওয়ামী লীগকে কঠিন হুশিয়ারী দেন জাতীয় পার্টির মোড়কে থাকা বিএনপি নেতাকর্মীরা।
জানা যায়, জাতীয় পার্টির এমপি লিয়াকত হোসেন খোকার নির্দেশে জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেনের নামফলক হাতুড়ি দিয়ে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিয়ে আনন্দ মিছিল করার অভিযোগে নামফলক ভাঙ্গার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবী জানিয়েছেন সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ. জেলা আওয়ামী লীগ, শ্রমিকলীগ. যুবলীগ, ছাত্রলীগ সহ সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের মানববন্ধন থেকে এমপি খোকাকে নিঃশর্ত ক্ষমা চাওয়ার ঘোষনা দেন অন্যথায় নারায়ণগঞ্জ অচল করে দেয়ার ঘোষনা দেয়া হয়। এ সময় এমপি খোকার কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
এদিকে রাতের আঁধারে বিদ্যালয়ের নামফলকটি পুণঃস্থাপন করার পর করোনাকালীন সময়কে উপেক্ষা করে শিশু, বৃদ্ধ ও নারীদের ঝুঁকির মধ্যে ফেলে আওয়ামীলীগের মানববন্ধনের জবাব দিতে পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ করেন জাতীয় পার্টি। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন জাতীয় পার্টির মোড়কে আবৃত বিএনপি নেতা এম এ জামান, শফিকুল ইসলাম শফি, আশরাফুল মাকসুদ, সিরাজুল ইসলাম ভূঁইয়া সহ জাতীয় পার্টি ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। অন্যন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাবেদ রায়হান, আবু নাইম ইকবাল, সানাউল্লাহ শানু, আক্রাম আলী শাহীন প্রমূখ।
জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীরা জানান, লিয়াকত হোসেন খোকা উন্নয়ন ফলক ভাঙ্গার সাথে জড়িত নয়, খোকার বিরুদ্ধে কঠিন ষড়যন্ত্র হচ্ছে বলে তারা দাবী করেন। তারা পাল্টা প্রতিবাদ সমাবেশ থেকে জানান, খোকার বিরুদ্ধে কোন রকম ষড়যন্ত্র হলে এর দাঁতভাঙা জবাব দিতে তারা প্রস্তুত।
শীতে করোনাভাইরাস সংক্রমণের প্রকোপের আশংকা থেকে সরকার ভাইরাসটি প্রতিরোধের সকল চেষ্টা নেতাকর্মীদের এমন কান্ডজ্ঞানহীন লোক জমায়েতের কারনে নষ্ট হওয়ায় দিন দিন করোনা রোগীর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। সামাজিক দূরত্ব না মেনে গণজমায়েতের কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নো মাস্ক নো সার্ভিস নীতি কোন কাজে আসবে না বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা।
আপনার মতামত জানান