হাসনাত পরিবারের সাথেই আমার রাজনীতি-গাজী মুজিবুর রহমান

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ :
বাংলাদেশ যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাতের ডাকে আওয়ামী লীগের কোন মেয়র প্রার্থী সাড়া না দিলেও গাজী মুজিবুর রহমান কয়েক হাজার নেতা কর্মী নিয়ে ঢাক, ঢোল পিটিয়ে হাজির হয়েছেন। বিশাল জনবহর নিয়ে সভায় উপস্থিত হয়ে সভাকে নসাৎ করার সকল চেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়েছেন। যুবলীগের ৪৮ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে যাতে লোক সমাগম না হয় এ জন্য একটি মহলের সকল ষড়যন্ত্রের দাতভাঙা জবাব দিয়েছেন গাজী মুজিবুর রহমান।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে সাবেক সাংসদ কায়সার হাসনাত বলেন, আমি পৌরসভার প্রত্যেকটি মেয়র প্রার্থীকে দাওয়াত দিয়েছি। তারা কেউ আসেননি সেজন্য আমি তাদের দোষ দেইনা। কিন্তু জাতীয় পার্টির পেতাত্মরা তাদের ভুল পথে পরিচালনা করেছেন। আজ মিটিংয়ে যাতে নেতাকর্মীরা না আসেন সে জন্য জাতীয় পার্টির এমপি ও জাতীয়পার্টির সংসদ সদ্যেসের প্রেতাত্মারা চৌরাস্তায় বসে ফোন করে বিভিন্ন ভাবে হুমকি ধামকি দিয়েছেন।



সোনারগাঁ পৌরসভা মাঠে আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে তিনি আরো বলেন, আমি আজ একটি শ্লোগান নিয়ে পৌরসভায় এসেছি। আগামী পৌরসভা নির্বাচনে শেখ হাসিনা নৌকা প্রতিক দিয়ে যাকে আমাদের কাছে পাঠাবেন, সেই ই হবে আমাদের প্রার্থী । আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হয়ে মাঠে কাজ করে যে কোন মুল্যে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করে শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করে বঙ্গবন্ধুর আর্দশের রাজনীতির বীজ বপন করে নতুন করে আওয়ামীলীগের ফাউন্ডেশন তৈরী করবো।

প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে উপস্থিত না হওয়া এবং এটাকে নসাৎ করার ব্যাপারে তিনি বলেন, এটা স্পস্ট ভাবে প্রমান হয় আপনারা দলের চেয়ে স্বার্থ বেশী ভালবাসেন । আপনারা নির্যাতন নিপীড়িত নেতাকর্মীদের পাশে না থেকে অর্থের পেছনে ঘুরেন।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে উপস্থিত তৃণমূর নেতা কর্মীরা জানান, তারা কেমন আওয়ামী লীগ করেন যারা অন্যের প্ররোচনায় নিজ দলের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। যারা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে নির্লোভ রাজনীতি করেন তারা কখনো যুবলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীতে না এসে পারতেন না।

যুবলীগের সাবেক সভাপতি ও মেয়র প্রার্থী গাজী মুজিবুর রহমান বলেন, আমার রাজনৈতিক গুরু আবুল হাসনাত সাহেব। প্রয়াত এ মহান নেতার হাত ধরে আমি রাজনীতি শুরু করেছি। এ পরিবারের সাথে থেকে রাজনীতি করে জেল, জুলুম, অত্যাচার ও নিযাতনের শিকার হলেও আমি এ পরিবারের সাথেই রাজনীতি করছি। আমার দীর্ঘদিনের আদর্শিক রাজনীতির মূল্যায়ন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা যদি আমাকে নৌকা প্রতিক দেন তাহলে আমার রাজনৈতিক অভিভাবক হাসনাত পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিজয় নিশ্চিত করে বিশ্বনেত্রীকে নৌকার বিজয় উপহার দিতে পারব-ইনশাল্লাহ্।

আপনার মতামত জানান