সোনারগাঁয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে ইউএনও’র ধানকাটা সপ্তাহ ঘোষণা

প্রকাশিত




করোনা ভাইরাসে অচলাবস্থায় কাটিয়ে বাংলাদেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ন রাখতে কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এক যুগান্তকারি পদক্ষেপ গ্রহন করেছেন। লকডাউনে থাকায় কৃষকরা কৃষি শ্রমিক না পাওয়ায় তাদের পাকা ধান কাটা, বাড়ি পৌছানো ও মাড়াই দেয়া জন্য ৭শত স্বেচ্ছাসেবক নিয়ে একটি স্বেচ্ছাসেবী টিম গঠন করেছেন। এ টিম আগামী সপ্তাহে সোনারগাঁয়ের ৯০টি ওয়ার্ডে ৪০/৫০ জনের স্বেচ্ছাসেবক দল একযোগে ধানকাটা শুরু করবেন বলে জানান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুল ইসলাম।

তিনি জানান, বর্তমান প্রেক্ষাপটে আমরা যদি কৃষি উৎপাদন অব্যাহত রাখতে না পারি ১৮ কোটির এই বাংলাদেশে আমরা নিশ্চিত ভাবেই একটি দুর্ভিক্ষের সম্মুখীন হতে চলেছি! তাই কৃষকের পাশে থেকে স্বেচ্ছাশ্রমের বৃত্তিতে তাদের পাকা ধান কেটে তাদের বাড়িতে তুলে দিতে চাই। তিনি জানান, করোনা ভাইরাসের বর্তমান কারনে কৃষক ভাইয়েরা কোন কৃষি শ্রমিক পাচ্ছেন না। নারায়ণগঞ্জ জেলা করোনার ডেঞ্জার জোন হওয়ায় বাইরের জেলা থেকে মৌসুমি শ্রমিক আসতে চাচ্ছেন না। এর ফলে বিপুল পরিমাণ ধান জমিতেই নষ্ট হয়ে যেতে পারে! আমি দু’একজন কৃষক ভাইয়ের হাহাকার দেখে সত্যি ব্যথিত হয়েছি। প্রতি বছর আমাদের জন্য মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ফসল ফলান যে কৃষক, এ বছর তাদের জন্য আমাদের এ উদ্যোগ।

তিনি আরো জানান, ১০টি ইউনিয়ন (৯০ টি ওয়ার্ড) প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে স্বেচ্ছাসেবক টীম গঠন করা হবে। প্রতিটি টীমে ৪০/৫০ জন করে থাকবে। যারা প্রান্তিক চাষিদের ধান কেটে দেবে। আমি নিজেও তাদের সাথে ধান কাটবো। উপজেলায় একটি মনিটরিং টীম থাকবে। এই মনিটরিং টীমে থাকবে সিনিয়র গণমাধ্যমকর্মী এবং থাকবে ওয়ার্ড টীম। স্বাস্থ্য বিধি মেনে ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পুরো কাজটি করা হবে। অংশগ্রহনকারীদের উপজেলা প্রশাসন এর পক্ষ থেকে মাস্ক সরবরাহ করা হবে এবং পুরো কাজ শেষে এপ্রিসিয়েশন সনদ দেয়া হবে।

সোনারগাঁবাসীর উদ্যেশে তিনি বলেন, ঘরের ভেতর হাত গুটিয়ে বসে না থেকে সপ্তাহে ২/৩ ঘন্টা করে আমাদের সাথে এই মহৎ ও মহান কর্মযজ্ঞে অংশ নিন। জাতির এই ক্লান্তি লগ্নে আপনার সক্রিয় অবদানও অবিস্মরণীয় হয়ে থাকুক। সবাই মিলে আমাদের সোনারগাঁকে একটি সত্যিকারের সোনারগাঁয়ে পরিণত করার আহ্বান জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান