সোনারগাঁয়ে সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে চলছে ক্লাস

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের নোয়াগাঁও ইউনিয়নে সরকার নির্দেশনা অমান্য করে এক কিন্ডারগার্টেনে ক্লাস নিচ্ছেন শিক্ষকরা। এসময় মানা হচ্ছে না কোনো স্বাস্থ্যবিধি এবং শারিরিক দূরত্ব বজায় না রেখেই শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে ক্লাস নিচ্ছেন। শিক্ষার্থীদের স্কুলে এনে ক্লাস করে স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে ফেলে দিচ্ছে বলে অভিযোগ রয়েছে। সাংবাদিকরা এ বিষয়ে জানতে ও ছবি তুলতে গেলে তাদের বাঁধা দেয় এবং প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
জানা যায়, উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের চরকামালদী এলাকায় এম এ মান্নান কিন্ডারগার্টেন এন্ড হাই স্কুল নামের একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান দীর্ঘদিন ধরে করোনার মধ্যেও নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। তাদের দাবি ওই এলাকার কেউ করোনায় আক্রান্ত হয়নি। এছাড়াও সরকারিভাবে তাদের কোন প্রকার সহযোগিতা দেওয়া হয়না। তাদের সংসার চালাতে হিমশিম খাচ্ছেন। তাই এ কিন্ডারগার্টেন খোলা রেখে নিয়মিত ক্লাস নিচ্ছেন। অভিভাবকদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে বেতন আদায় করছেন।
সরেজমিনে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ওই স্কুলে গিয়ে দেখা যায়, শ্রেণী কক্ষে স্কুলের পোষাক ছাড়া সাধারণ পোষাকে শিক্ষার্থীদের গাদাগাদি করে ক্লাস নিচ্ছেন। সাংবাদিকরা ছবি তুলতে গেলেই শিক্ষার্থী ও শিক্ষকরা এদিক ওদিক ছোটাছুটি করে পালিয়ে যায়।
চরকামালদি গ্রামের অভিভাবক আলমগীর হোসেন বলেন, সারা দেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করোনার মধ্যে বন্ধ রয়েছে। কিন্তু এম এ মান্নান কিন্ডারগার্টেন অভিভাবকদের ফোর্স করে শিক্ষার্থীদের নিয়ে শ্রেণী কক্ষে গাদাগাদি করে ক্লাস নেয়। এছাড়াও প্রতি মাসেই তারা বেতনের জন্য চাপ প্রয়োগ করে।

অভিভাবক সুফিয়া বেগম বলেন, এম এ মান্নান কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ ও সহকারী শিক্ষক সুজন মিয়া বাড়ি বাড়ি গিয়ে আমাদের ছেলে মেয়েদের ডেকে এনে ক্লাস নিচ্ছেন। করোনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ এলাকায় কোথায় করোনা নেই বলে জানিয়ে বিভিন্নভাবে বুঝ দিয়ে ছেলে মেয়ে বাড়ি থেকে নিয়ে আসেন।
এম এ মান্নান কিন্ডারগার্টেনের প্রধান শিক্ষক হারুন অর রশিদ বলেন, সরকারীভাবে আমাদের কোন বেতন দেওয়া হয় না। আমাদের সংসার আছে। আমরা চলবো কি করে। তাই স্কুলে এ্যাসাইনমেন্টের জন্য শিক্ষার্থী আনা হয়। তবে ক্লাস নেওয়া হয় না।

সোনারগাঁও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, করোনার মধ্যে স্কুল বন্ধ। ক্লাস নেওয়ার কোন সুযোগ নেই। কেউ ক্লাস নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে সরকারীভাবে শিক্ষার্থীদের এ্যাসাইনমেন্টের মাধ্যমে মূল্যায়ণ করা হবে।

সোনারগাঁও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, সরকারী নির্দেশনা অমান্য করে যদি ক্লাস নিয়ে থাকে তদন্ত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান