সোনারগাঁয়ে গণধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেফতার

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>
বাগবাড়িয়া গ্রামে ভাড়া থাকার সময় বাড়ির ভাড়াটিয়া হাবিবুর ও তার মধ্যে বিপদে আপদে আর্থিক লেনদেন হতো। মেয়েটি নারায়নগঞ্জের সোনারগাঁয়ের জামপুর ইউনিয়নের বাগবাড়িয়া গ্রামে ভাড়া থেকে সে রূপগঞ্জের গাউছিয়া ও ভুলতা এলাকায় বিভিন্ন বাসা ও ম্যাচে গৃহকর্মীর কাজ করতো।

কাজের সুবিধার্থে পরে সে হাবিবুরের বাসা রূপগঞ্জের ভুলতা এলাকায় বাসা ভাড়া নেয়। গৃহকর্মী রূপগঞ্জ যাওয়ার পর হাবিবুর রহমান তার সহযোগী শাহিনুর গৃহকর্মীকে ফোন করে পাওনা দেনা বিষয়ে কথা বলার জন্য হাবিবুরের বাসায় আসতে বলে। গত সোমবার গৃহকর্মী হাবিবুরের বাসায় আসলে তাকে জোরপূর্বক ৪ জন মিলে গণধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে ওই গৃহকর্মী অচেতন হয়ে পড়লে তাকে ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ধর্ষকরা।

এ ঘটনায় অচেতন গৃহকর্মী পরের দিন (মঙ্গলবার)সকালে জ্ঞান ফিরে পেয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ৪জনকে আসামী করে রাতে সোনারগাঁ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্ত দুই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

মামলায় এজাহারভুক্ত আসামীরা হলো- বাগবাড়িয়া এলাকার মৃত সোবহান মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান, একই এলাকার আজিজুল ইসলামের ছেলে স্বপন (৩০) এবং নওগাঁ জেলার শিকারপুর গ্রামের মোতাহার প্রমাণিকের ছেলে শাহিনুর ইসলাম। এ মামলায় আরো একজনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।

তালতলা ফাঁড়ির ইনচার্জ আহসানউল্লাহ জানান, মামলা দায়েরের পর ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দুজনের মধ্যে শাহিনুর ইসলামকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকী দুজনকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, ধর্ষনের দায়ে গ্রেফতারকৃত একজনকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। আসামী নারায়ণগঞ্জ সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিল্টন খন্দকারের আদালতে ১৬৪ ধারা জবানবন্দীতে ওই আসামী তার দোষ স্বীকার করে। আদালত তাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছে।বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

আপনার মতামত জানান