সোনারগাঁয়ে আচরণবিধি লঙ্গন করছে প্রার্থীরা

প্রকাশিত

প্রতিক বরাদ্দের আগেই নির্বাচনের আচরণবিধি লঙ্গন করে নির্বাচনী সভা করার অভিযোগ উঠেছে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীদের বিরুদ্ধে। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন ও জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থীর বিরুদ্ধে। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার জামপুর, নোয়াগাঁও, শম্ভুপুরা ও বারদী, ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী সভা করেছেন উভয় দলের মনোনীত প্রার্থীরা।

উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার আটটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৮ নভেম্বর। নির্বাচনী তফসিল মোতাবেক আগামী ১১ নভেম্বর প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন। ১২ নভেম্বর প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ হওয়ার পর প্রার্থীরা আনুষ্ঠানিক প্রচার প্রচারনা শুরু করবেন।

এ দিকে নির্বাচনের প্রতীক বরাদ্দের আগেই উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে নৌকার মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী হুমায়ন কবির ভূঁইয়ার পক্ষে নির্বাচনী সভা করেন নারায়ণগঞ্জ ২ আসনের সাংসদ নজরুল ইসলাম বাবু। প্রচারনায় পিছিয়ে নেই জাতীয় পার্টির আশরাফুল ভূঁইয়া মাকসুদ। বারদী ইউনিয়নের জাতীয় পার্টির মনোনীত দাইয়ান সরকার আচরন বিধি লঙ্গন করে জাতীয পার্টির নেতাকর্মীদের নিয়ে মিছিল ও প্যান্ডেল করে নির্বাচনী সভা করেছেন। নির্বাচনের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হওয়ার আগেই ক্ষমতাসীন ও জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা মিছিল ও সভা করায় প্রতিদ্বন্দী স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীরা উৎকন্ঠায় রয়েছেন নির্বাচনের পরিবেশ সুষ্ঠু হবে কিনা।



এছাড়াও উপজেলার জামপুর, বারদি, সাদিপুর, কাচঁপুর, নোয়াগাঁও, সাদিপুর ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নে সরেজমিন গিয়ে দেখা যায় নির্বাচনী আচরন বিধি লঙ্গন করে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থীরা সভা সমাবেশ, উঠান বৈঠক ও মিছিল করে এরই মধ্যে নির্বাচনী প্রচার প্রচারনা শুরু করেছেন। পিরোজপুর ইউপিতে প্রতিদ্ধন্দ্বী না থাকায় ইঞ্জিনিয়ার মাসুদুর রহমান মাসুম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন।


এদিকে নির্বাচনে আচরণ বিধি লঙ্গনের দায়ে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বারদী ইউনিয়নের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী মাহবুবুর রহমান বাবুলকে গতকাল কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়েছে দায়িত্বপ্রাপ্ত রির্টানিং কর্মকর্তা। নোটিশে আগামী ৩ দিনের মধ্যে কারন দর্শানোর জন্য বলা হয়। কিন্তু একমাত্র বারদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান প্রার্থীকে নির্বাচনী আচরনবিধি লঙ্গনের দায়ে কারন দর্শানোর নোটিশ দিলেও বাকিরা রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।



এ ব্যাপারে নির্বাচনী এলাকার ভোটাররা জানান, দলীয় প্রার্থীদের প্রতিক জানা থাকায় তারা নভেম্বরের শুরু থেকেই সভা, উঠান বৈঠক সহ নানা কৌশলে নির্বাচনী প্রচারনা চালাচ্ছে। এতে বিপাকে পড়েছে স্বতন্ত্র ও বিদ্রোহী প্রার্থীরা।

উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ইউসুফ-উর রহমান জানান, নির্বাচনে আনুষ্ঠানিক প্রচারনা শুরু হওয়ার আগে দোয়া মাহফিলের নামে এভাবে নির্বাচনী প্রচারনা চালানো নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্গন। আচরন বিধি লঙ্গনের সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আপনার মতামত জানান