সাড়ে ৩ হাজার কেজি পিয়াজ সমান ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের ১টি চারা গাছ

প্রকাশিত

ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. এস এম খবীরুল ইসলাম কলেজের বৃক্ষরোপন প্রকল্পের জন্য ১টি চারা গাছ যত টাকায় ক্রয় করেছেন, সে টাকায় ১৬০ টাকা কেজি দরে সাড়ে ৩ হাজার কেজি মূল্যবান পিয়াজ কেনা যায়।

সরেজমিন বিভিন্ন পাইকারি ও খুচরা বাজার ঘুরে দেখা যায়, সাড়ে ৩ হাজার ৪ শত ৩৭ কেজি পিয়াজের বর্তমান মূল্য সাড়ে ৫ লাখ টাকা। যে টাকা দিয়ে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ মাত্র একটি গাছের চারা ক্রয় করতে পেরেছেন। অধ্যক্ষের ২০০টি চারা গাছের টাকায় কেনা যেত ৬ লাখ ৮৭ হাজার ৫ কেজি প্রায় ৬ শত ৭৭ মেট্রিকটন পিয়াজ। অধ্যক্ষ প্রায় পৌনে ৭ শত মেট্টিকটন পিয়াজ না কিনে ১১ কোটি টাকা দিয়ে মাত্র ২০০টি চারা গাছ কিনেছেন।

এক সমীক্ষায় দেখা যায়, অধ্যক্ষের ক্রয় করা ২০০ গাছের যত্নে কীটনাশক, সার ও মালির পেছনে ২০ বছরে খরচ করবেন আরো ৫ কোটি টাকা। তবে ২০০ চারা থেকে ২০ টি চারা ১ বছরের মধ্যে মরে যাবে। বাকি চারা থেকে আরো ৩০টি চারা নানা কারনে সঠিক বৃদ্ধি হবে না। তাহলে ২০ বছর পর চারা গুলো থেকে মাত্র ১৫০টি গাছে রূপান্তরিত হবে। ২০ বছর পর ১৫০ টি গাছের দাম পড়বে ১৬ কোটি টাকা।

বিশেষজ্ঞরা জানান, ২০ বছর পর প্রতিটি চারা গাছ থেকে বৃক্ষ হওয়া গাছের পিছনে খরচ পেড়লো মোট সাড়ে ১০ লাখ টাকা (প্রায়)।২০ বছর পর গাছগুলোর সর্বোচ্চ দরে (প্রতিটি গাছ ৮০,০০০ টাকা) বিক্রি করলে সরকারি কোষাগারে জমা হবে মাত্র ১ কোটি ২০ লাখ টাকা।

তাই স্বাভাবিকভাবেই বলা যায় ২০০ টি গাছ রোপন করতে সরকারি কোষাগার থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন ১১ কোটি টাকা। ইতিমধ্যে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ উঠাই স্বাভাবিক।

এই অধ্যক্ষের দুর্নীতি অনিয়মের অভিযোগ এখন সারাবিশ্বে টক অফ দি টাউনে পরিণত হয়েছে। অথচ অধ্যক্ষ সাংবাদিকদের আরো কিছু বিড়ালের সন্ধান দিয়ে জানান, আমি কোন অনিয়ম ও দুর্নীতির সাথে জড়িত না, গাছরোপন করেছে পূর্ত ভবন ও প্রকল্প পরিচালক তারা সব জানেন।

এ দুর্নীতি সাথে পুর্ত ভবনের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও প্রকল্প পরিচালকের দায় অস্বীকার করার কোন উপায় নেই। প্রশ্ন হলো তাদের কি আইনের আওতায় আনা যাবে? উদ্ধার করা যাবে কি জনগণের কষ্টার্জিত টাকা? সে আইন জনগণ দেখতে চায়।

আপনার মতামত জানান