সোনারগাঁয়ে সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলার আসামী অধরা

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>
সোনারগাঁ উপজেলার পিরোজপুর ইউনিয়নের দুধঘাটা এলাকায় সপ্তম শ্রেণি পড়–য়া এক স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগ দুইদিন পর মামলা নেন সোনারগাঁ থানা পুলিশ। এ ঘটনার চারদিন পেরিয়ে গেলেও আসামীকে গ্রেফতারের তাল বাহানা করছে সোনারগাঁ থানা পুলিশ এমন্ই অভিযোগ মামলার বাদীর।

ধর্ষণ চেষ্টা মামলার বাদী সপ্তম শ্রেণিতে পড়–য়া স্কুল ছাত্রীর মা জানান, বৃহস্পতিবার রাতে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। অভিযোগের পর উপপরিদর্শক ইমানুর রহমান সরেজমিন তদন্ত করে ঘটনার সত্যতা পেলেও মামলা নিতে গড়িমসি করেন। পরে শনিবার রাতে মামলা দায়ের করতে সক্ষম হলেও আসামী পক্ষের হুমকিতে পালিয়ে বেড়াচ্ছে ভুক্তভোগী এ পরিবারটি। রহস্যজনক কারনে মামলার একমাত্র আসামী ধর্ষণ চেষ্টাকারী আলমগীরকে (৪৫) গ্রেফতার করছেনা বলে জানান ভুক্তভোগী পরিবার।

ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা জানান, মামলা করার পর থেকেই তা তুলে নিতে হুমকি দিচ্ছে আসামী আলমগীর, তার পরিবার ও এলাকার প্রভাবশালীরা। এতে ভীত হয়ে তারা অন্যের বাড়িতে রাত্রীযাপন করেন। তারা জানান, মামলার আসামী আলমগীর দিনরাত্রি এলাকায় থাকলেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করছে না।

এ ব্যাপারে মামলা তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক ইমানুর রহমান ধর্ষণচেষ্টার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমরা আসামী গ্রেফতারের সর্বোচ্ছ চেষ্টা করছি। সে ঘটনার পর থেকেই পলাতক রয়েছে। তবে আসামী যেখানেই থাকুক তাকে খুব দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় সোর্পদ করা হবে।

উল্লেখ্য বৃহস্পতিবার বিকেলে দুধঘাটা পূর্বপাড়া গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রীর মা মঙ্গলেরগাঁও বটতলা বাজারে পরিবারের নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করতে যায়। এ সুযোগে ছাত্রীকে বাড়িতে একা পেয়ে পার্শ্ববর্তী বাচ্চু মিয়ার ছেলে আলমগীর ছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ওড়না দিয়ে বেঁধে ধর্ষণের চেষ্টা চালায়। এসময় ছাত্রীর মা বাজার থেকে ঘরে ফিরে গোঙ্গানির শব্দ পেয়ে ডাক চিৎকার করলে আলমগীর দৌড়ে পালিয়ে যায়।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান জানান, এ ঘটনায় মামলা নেয়া হয়েছে। আসামী ধরতে পুলিশের বিশেষ টিম কাজ করছে।

আপনার মতামত জানান