সারাদিনের খাই খাই ভাব কমাতে যা করবেন

আপনি যদি খাদ্যরসিক হন বা না হন আপনার ফুড ক্রেভিং বা খাওয়ার ইচ্ছা আপনার জাগবেই। তবে সব সময় যদি ক্রেভিং হয় তবে ওজন হুট করে বেড়ে যেতে পারে। এজন্য দরকার নির্দিষ্ট কিছু নিয়ম মেনে চলা। চলুন জেনে নেওয়া যাক কীভাবে ফুড ক্রেভিং নিয়ন্ত্রণে রাখবেন।
১. প্রচুর পানি খান
আমাদের মস্তিষ্ক অনেক সময়ই বুঝতে পারে না যে আমাদের খিদে লাগছে কি না। আপনি যখনই ক্ষুধার্ত বোধ করবেন এক গ্লাস পানি খেয়ে নিন। স্বাভাবিকভাবে পানি খেলে খিদে কমে যাবে। এরপর কিছুক্ষণ পর আপনি খাবার খাওয়া শুরু করুন এতে করে আপনার খাওয়া কম হবে।
২. প্রোটিন বেশি খান
শারীরিক চাহিদা অনুযায়ী প্রত্যেক দিন একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ প্রোটিন অবশ্যই খেতে হবে। প্রোটিন আপনার খিদে কমিয়ে দিতে পারে কারণ প্রোটিন শরীরে হজম হতে সময় নেয়। ফলে প্রোটিন খাওয়ার পর আপনার শরীর অনেকক্ষণ তা হজম করতেই ব্যস্ত থাকে বলে আপনার আর খিদে পাবে না। তাই ডিমের সাদা অংশ, পনির, চিকেন ব্রেস্ট, ডাল এবং মাছের মতো ভালো প্রোটিন খাদ্যতালিকায় রাখুন।
৩. খুব ক্ষুধার্ত হওয়া এড়িয়ে চলুন
খুব বেশি খিদে পেয়ে গেলে আমাদের খাই খাই ভাব বেড়ে যায়। যার ফলে আমরা শরীরের জন্য খারাপ খাবারই পছন্দ করে ফেলি। ক্রেভিং সাধারাণত খিদে পেলে বেড়ে যায়। আমাদের তখন চকোলেট, পিৎজা, মিষ্টি ইত্যাদি খেতে ইচ্ছে হয়। তাই দীর্ঘক্ষণ পেট খালি না রাখার চেষ্টা করবেন।
৪. পরিমিত ঘুমান
যারা কম ঘুমান এবং ক্লান্ত বোধ করেন তাদের ফুড ক্রেভিং বেশি হয়। যেহেতু তাদের শরীর ক্লান্ত থাকে তাই সব সময় সক্রিয় থাকতে শরীরের কিছু খাবারের প্রয়োজন হয়। তাই প্রত্যেক দিন ৭-৮ ঘন্টা ঘুমানো জরুরি।
৫. দুশ্চিন্তার সময়ে খাওয়াকে নিয়ন্ত্রণ করুন
সাধারণত দৈনন্দিন জীবনে কোনও চাপের মধ্যে থাকলে আমাদের চকোলেট অথবা মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আসক্তি হয়। আর সেটাই আমাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। হাঁটতে হবে, ব্যায়াম করতে হবে। এছাড়া কোনও বন্ধুর সঙ্গে কথা বলা,সিনেমা দেখার মাধ্যমে আপনার চিন্তা কমাতে পারেন।
৬. মানসিক কারণ
আপনাকে শারীরিকভাবে ফিট থাকতে মানসিকভাবে শক্ত থাকতে হবে। আপনি যদি ছয় মাস অথবা একবছর ধরে জাঙ্ক ফুড খান, তাহলে আপনাকে কেমন দেখতে হবে তা নিজেই কল্পনা করুন। আবার একই সঙ্গে আপনি যদি সবসময় স্বাস্থ্যকর খাবার খান তাহলে আপনাকে কেমন দেখতে হবে তাও ভাবুন।
উপরের নিয়মগুলো মেনে চলার পরেও যদি খাবারের প্রতি আসক্তি থাকে তাহলে কলা, পপকর্ন, সেদ্ধ ডিম, ছোলা ভাজা, ফল, সালাদ ইত্যাদির মতো স্বাস্থ্যকর স্ন্যাকস খান।
সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ।
আপনার মতামত জানান