সন্ত্রাসী হামলায় মারা গেলেন বিএনপি নেতা বাতেন, আতঙ্কে পালিয়েছে একমাত্র ছেলে শাহানুর

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ :

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ পৌরসভার ভট্টপুর গ্রামের বিএনপি নেতা আব্দুল বাতেন সন্ত্রাসীদের হামলায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। গতকাল ২৩ নভেম্বর ২০২১ সালের মঙ্গলবার তিনি ইন্তেকাল করেন। এদিকে পিতার মৃতদেহ রেখে প্রাণভয়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন তাঁর একমাত্র সন্তান শাহানুর মিয়া। হামলা ও পিতার মৃত্যুর ঘটনায় মামলা করতে ভয় পাচ্ছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

 

জানা যায়, পৌরসভার ভট্টপুর গ্রামের বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আব্দুল বাতেন পৌরসভা এলাকার এক রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে নিজ বাড়ি ফেরার পথে যুবলীগ নেতা নিলুর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী চায়নিজ কুড়াল, হকিষ্টিক ও রামদা দিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় আব্দুল বাতেন সহ এলাকার কয়েকজন মুরব্বী গুরুতর জখম হয়। আহত অবস্থায় তাদেরকে এলাকাবাসী উদ্ধার মোগরাপাড়া চৌরাস্তার সেবা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে। মারাত্মক আহত আব্দুল বাতেন তিনদিন চিকিৎসার পর মারা যান। পরে তাকে স্থানীয়রা জানাযা শেষে স্থানীয় কবরস্থানে দাফন করে।

 

এদিকে শাহানুর মিয়ার চাচা আব্দুল মতিন অভিযোগ করেন, শাহানুর মিয়া তার পিতাকে মারধর করে পালিয়েছে। এ অভিযোগে আব্দুল মতিন শাহানুরের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ এনে সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করেন।

 

স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মধু কাউন্সিলর জানান, শাহানুরের বিরুদ্ধে তার পিতাকে মারধর করার অভিযোগ মিথ্যা। তার পিতাকে মেরে তাদের জায়গাজমি দখল করতেই পরিকল্পিতভাবে তাঁর বিরুদ্ধে মামলা করেছেন তার চাচা আব্দুল বাতেন।

 

এদিকে বিভিন্ন মিথ্যা মামলায় তার একমাত্র পুত্র সন্তান শাহানুর মিয়ার বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট থাকায় এবং সন্ত্রাসীদের ভয়ে পিতার জানাযায় অংশ নিতে পারেননি। তার বিরুদ্ধে তার চাচা আওয়ামী নেতা আব্দুল মতিন স্থানীয় এমপি কায়সার হাসনাতের সহযোগিতায় মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা দিয়ে হয়রানি করছে। এমতাবস্থায় জীবনের ভয়ে শাহানুর মিয়া তার স্ত্রী ও এককন্যাকে রেখে পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

 

স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, আব্দুল বাতেন বিএনপির রাজনীতির সাথে জড়িত। সে ও তার একমাত্র ছেলে শাহানুর বিএনপির সকল রাজনৈতিক আন্দোলন সংগ্রামে অংশগ্রহন করতো। তার ছেলে শাহানুর মিয়া সোনারগাঁ ইউনিভার্সিটি কলেজে বিএনপির সহযোগী ছাত্র সংগঠন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কলেজ শাখার ছাত্রকল্যান সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ সময় সরকার পতনের আন্দোলনে সে সক্রিয় ভূমিকা রাখায় তার চাচা আওয়ামী নেতা আব্দুল মতিন তাদের বিরুদ্ধে মামলা দিয়ে বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার জন্য হামলা চালায়। বর্তমানে প্রান ভয়ে শাহানুর মিয়া আত্মগোপনে থাকার সুযোগে তাদের সকল সম্পদ, সম্পত্তি দখল করে নিয়েছে।

শাহানুর মিয়া আত্মগোপনে থাকার কারনে তার সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও এ প্রতিবেদক শাহানুর মিয়ার সাথে যোগাযোগ করতে পারেননি।

আপনার মতামত জানান