শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জেলা শিক্ষা অফিসারের পিকনিক ও অনিয়মের অভিযোগ

প্রকাশিত

নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ে একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কার্যক্রম বন্ধ রেখে পিকনিকের অভিযোগ উঠেছে। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে মাধ্যমিক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেছে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকগণ।

জানা যায়, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দিনের বরাত দিয়ে জেলার ৯ শত শিক্ষক ও কর্মচারীদের নিয়ে ১৭ ডিসেম্বর একটি পিকনিকের জন্য প্রতিটি বিদ্যালয়ে নোটিশ জারি করেন। জনপ্রতি ৬শত টাকা চাঁদা নিধারণ করে পিকনিকের স্থান সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন নির্বাচন করা হয়। অভ্যর্থনা, অর্থ, ক্রয়, আপ্যায়ন ও সাংস্কৃতিক কমিটির ৬৬ সদস্যের সবাইকে অন্ধকারে রেখে শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম নিজেই সব কিছুর দায়িত্ব নেন।

গতকাল সরেজমিন সোনারগাঁ জি আর ইনস্টিটিউশন স্কুল এন্ড কলেজে গিয়ে দেখা যায় এইচএসসি পরীক্ষার ফরম পূরণ বন্ধ রেখে স্কুল মাঠে পিকনিক করা হচ্ছে। এ সময় একাধিক শিক্ষক পিকনিকের খাবার ও ভেনু নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন। তারা জানান, আমাদের সোনারগাঁ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনে পিকনিকের কথা বলে একটি স্কুলে নিয়ে এসেছে। আগে বলেছে সোনারগাঁয়ে গিয়ে সোনারগাঁয়ের ঐতিহ্যবাহী স্থাপনা ও অলি আউলিয়ার মাজার ঘুরিয়ে দেখাবে, এখন স্কুলেই বিকাল হয়ে গেছে। তারা আরো জানান, সকালের নাস্তা ও দুপুরে একজনের খাবার তিনজনে ভাগ করে খেতে হয়েছে।

এ সময় কয়েকটি বিদ্যালয়ের অধ্যক্ষ ও প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয় পরিদর্শন করে মোটা অংকের চাঁদা আদায়ের অভিযোগ করেন শিক্ষা অফিসারের বিরুদ্ধে। তারা জানান, বিভিন্ন সময়ে নানা অনুষ্ঠানের কথা বলে ৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করেন। ডিসেম্বরে সোনারগাঁয়ের চারটি স্কুল পরিদর্শন করে ৩৪ হাজার টাকা নিয়ে যান। ভুক্তভোগীরা জানান, টাকা না দিলে বিভিন্ন রকম ঝামেলা ও প্রয়োজনীয় ফাইল আটকে রাখেন।

পিকনিকের ব্যাপারে উপকমিটির সদস্যরা কিছুই জানেন না এবং টাকা আদায় ছাড়া অন্য কোনোরকম দায়িত্ব তাদের দেয়া হয়নি বলে নিশ্চিত করেন। এ সময় শিক্ষা ও শিক্ষক কর্মচারী উন্নয়ন পরিষদের এক নেতা জানান, আমি নিজের পকেট থেকে ৪০জনের খাবার কিনে দিয়েছি। পিকনিকের নাম করে প্রায় সাড়ে ৫ লাখ টাকা আদায় করলেও ২ লাখ টাকাও খরচ করছেন না।
পরিদর্শনের নামে কেন বিদ্যালয় থেকে চাঁদা নিচ্ছেন জানতে চাইলে জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম বলেন, পিকনিকের পর সব প্রশ্নের উত্তর দিব। এরপর চেয়ার থেকে উঠে অন্যত্র চলে যান তিনি।

সুত্র : কালের কন্ঠ

আপনার মতামত জানান