মার্তিনেজ বাংলাদেশে বাক্সবন্দি
বিশেষ প্রতিবেদক:
এমিলিয়ানে মার্তিনেজ এখন বাংলাদেশে। আর্জেন্টিনার কাতার বিশ্বকাপজয়ী গোলরক্ষক এখন ঢাকায়। বিশ্বকাপে গোল্ডেন গ্লাভস বিজয়ী মার্তিনেজ একটু আগে বাড্ডার একটি করপোরেট অফিসে দিয়ে গেলেন ‘আড্ডা’। সবই ঠিকই আছে। বাংলাদেশের অগুনতি আর্জেন্টিনা সমর্থকদের শুধু একটাই আফসোস, এত কাছে পেয়েও স্বচক্ষে দেখা হলো না তাঁদের প্রিয় গোলরক্ষককে।
লম্বা যাত্রা শেষে ইস্তাম্বুল হয়ে ভোরে ঢাকায় পৌঁছেছেন মার্তিনেজ। সামান্য বিশ্রাম শেষে সকাল ৯টার দিকে চলে এসেছেন বাড্ডার প্রগতি সরণিতে ফান্ডেডনেক্সট, নেক্সট ভেঞ্চারের কার্যালয়ে। মার্তিনেজের ঢাকা সফরের ব্যবস্থা করেছে এ প্রতিষ্ঠান। সেখানেই যে ঘণ্টাখানেক ছিলেন, সংবাদকর্মীদের ভিড় আর হাতেগোনা কিছু দর্শক—কারও পক্ষে সুযোগ হয়নি একটু চক্ষুভরে, মনভরে মার্তিনেজকে দেখার।
কোনো আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলন কিংবা ‘পাবলিক প্রোগ্রাম’ যে হবে না মার্তিনেজের এ ১১ ঘণ্টার বাংলাদেশ সফরে, আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন আয়োজকেরা। কিন্তু যে দর্শকদের বিপুল ভালোবাসার কথা ভেবে মার্তিনেজ নিজেই ঢাকায় আসতে আগ্রহ প্রকাশ করেছিলেন, সেই দর্শকদের সঙ্গে তাঁর কোনো প্রকার ‘সংযোগ’ই ঘটল না। আয়োজকেরা বলছেন, বাতিল হতে হতে শেষ মুহূর্তে সফরটা চূড়ান্ত হওয়ায় অনেক কিছু বাদ দিতে হয়েছে। অথচ বাড্ডায় সাংবাদিক আর মানুষের জটলা দেখে মার্তিনেজ নিজেই গাড়ি থেকে একটু নামতে চেয়েছিলেন। যদিও পারেননি। ঝটিতি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে পরের কর্মসূচিতে।
পরের কর্মসূচি বলতে কোভিড টেস্ট করিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ। এরপর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কলকাতার ফ্লাইট ধরা। মার্তিনেজের জাঁকালো সব অনুষ্ঠান আসলে কলকাতায়। ঢাকায় তাঁর সফরটা শুধু একটু ‘ট্রানজিটে’র মতো অবস্থান।
আয়োজকেরাও যতটা পারছেন তাঁকে লুকিয়ে রাখতে। যত আকর্ষণ তাঁরা জমিয়ে রেখেছেন কলকাতার জন্য। তার আগে এই মার্তিনেজ নামের ‘জাদুর বাক্স’টা কিছুতেই খুলবেন না। এখানে যে বড় ব্যবসায়িক উদ্দেশ্য জড়িয়ে।
মার্তিনেজের বাড্ডার আড্ডায় যুক্ত হয়েছিলেন মাশরাফি বিন মর্তুজা। আর্জেন্টিনা-অন্তঃপ্রাণ বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক এসেছিলেন তাঁর সন্তানদের নিয়ে। মার্তিনেজের সঙ্গে দেখা শেষে মাশরাফির মুগ্ধতা যেন কাটছেই না। ফেসবুকে তিনি লিখেছেন, ‘এমি, আপনাকে স্বাগত এই বাংলার মাটিতে। এখানে আপনাদের অগুনতি ভক্ত আছে, যুগ যুগ ধরে। আশা করি, আপনারও ভালো লাগছে এই মাটিতে পা রেখে।’
মার্তিনেজের নিশ্চয়ই ভালো লাগছে। তবে দর্শকদের কাছে বিষয়টা হয়ে রইল ‘তিনি এত কাছে, তবু কত দূরে’!
আপনার মতামত জানান