বালু খেকো মন্ত্রীর বিরুদ্ধে কথা বলায় চাকরি হারালেন জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান

প্রকাশিত


বিশেষ প্রতিনিধি :
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান ড. মনজুর আহমেদ চৌধুরীর চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল করেছে সরকার।
আজ বুধবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের চুক্তি ও বৈদেশিক নিয়োগ শাখার এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়।


গত ২২ ফেব্রুয়ারি তিন বছরের জন্য জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয় কীটতত্ত্ববিদ ও বাংলাদেশ প্রাণিবিজ্ঞান সমিতির সাবেক সভাপতি মনজুর আহমেদ চৌধুরীকে।


‘মেঘনা নদী থেকে বালু উত্তোলনকারী সিন্ডিকেটের পেছনে একজন নারী মন্ত্রীর হাত রয়েছে’ এমন বক্তব্য দেওয়ার ২৪ দিন পর আজ তাঁকে পদ থেকে অপসারণ করা হলো।

গত ২৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে ‘বাংলাদেশের নদ-নদী: সংজ্ঞা ও সংখ্যা’ শিরোনামে এক সেমিনারে সভাপতির বক্তব্যে মনজুর আহমেদ চৌধুরী এমন মন্তব্য করেন। বিশ্ব নদী দিবস উপলক্ষে সেমিনারের আয়োজন করে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।

চাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রী নদী দখলে সহায়তা করেন: কমিশনের চেয়ারম্যানচাঁদপুরের এক নারী মন্ত্রী নদী দখলে সহায়তা করেন: কমিশনের চেয়ারম্যান
মনজুর আহমেদ বলেছিলেন, মেঘনায় এর আগে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন বন্ধ করা হয়েছে। যাঁদের নেতৃত্বে এই কাজ বন্ধ করা হয়েছে, তাঁদের পরে পানিশমেন্ট হিসেবে বিভিন্ন জায়গায় পাঠানো হয়েছে। স্ট্যান্ড রিলিজ দেওয়া হয়েছে। আবার সেখানে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন শুরু হয়েছে। আর এখানে ভূমিকা রয়েছে একজন নারী মন্ত্রীর। এই ‘হায়েনার দল’ থেকে নদীকে বাঁচানো যাচ্ছে না। এই হায়েনার দলের পেছনে আছে রাজনৈতিক শক্তি। চাঁদপুরের ওই নারী মন্ত্রী তাঁদের সহায়তা করেন।

আপনার মতামত জানান