প্রার্থীর অযোগ্যতাই নৌকা পরাজয়ের একমাত্র কারন-উপজেলা আওয়ামী লীগ

প্রকাশিত

প্রার্থীর অজ্ঞতা, অযোগ্যতা ও নেতৃত্বহীনতাই নৌকা পরাজয়ের একমাত্র কারন বলে আওয়ামী লীগের বর্ধিত সভায় উল্লেখ করেছেন উপজেলা আওয়ামীগ আহবায়ক কমিটি। আজ সোমবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ রয়েল রিসোর্টে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে আহবায়ক কমিটির পক্ষে লিখিত বক্তব্যে যুগ্ম আহবায়ক মাসুদুর রহমান মাসুম বলেন, গত ১৫ জুন অনুষ্ঠিত সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনীত প্রার্থীকে জয়ী করতে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করলেও প্রার্থীর অজ্ঞতার কারনে জয়ের দ্বারপ্রান্তে গিয়ে নৌকার প্রার্থী হেরে যায়। তবে প্রার্থী তার দায় এড়াতে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটিকে দায়ী করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে হেয় প্রতিপন্ন করেন এবং বিভিন্ন স্থানে অভিযোগ করেন।

তিনি আরও বলেন, নৌকার প্রার্থী সোহাগ রনি নিজ রাজনৈতিক অজ্ঞতা ও নির্বুদ্ধিতার কারনে নৌকাকে জয়ী করতে না পেরে সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ও মিথ্যা বক্তব্যে তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানান উপজেলা আওয়ামী লীগ।

জানা যায়, ৬৫ বছর ধরে রাজনীতিতে নেতৃত্ব দিচ্ছেন সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের সাজেদ আলী মোক্তারের পরিবার। ১১ বছর ধরে এ ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান বঙ্গবন্ধুর একান্ত সহচর ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সাজেদ আলীর মোক্তারের সন্তান আরিফ মাসুদ। তিনি উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটির সদস্যও। কিন্তু ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না পেয়ে দল থেকে ইস্তফা দেন। পরে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নৌকা প্রতিককে বিপুল ভোটে পরাজিত করে আবারও চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।

তৃণমূল নেতাকর্মীরা বলছেন, প্রার্থী বাছাইয়ে তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা, সামাজিকভাবে অগ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের দলীয় মনোনয়ন, স্বতন্ত্র প্রার্থীর আড়ালে বিদ্রোহী প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতা এবং সামগ্রিকভাবে স্থানীয় নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার কৌশল প্রণয়নে ব্যর্থতার কারণে দলীয় প্রার্থীরা হেরেছে।


সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন, সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সার, উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক শামসুল ইসলাম, আহবায়ক কমিটির সদস্য আবু জাফর চৌধুরী বিরু, রফিকুল ইসলাম নান্নু, আলী হায়দার, নাসরিন সুলতানা, ফজলে রাব্বী প্রমূখ।

আপনার মতামত জানান