পুত্রবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে শ্বশুর গ্রেপ্তার

প্রকাশিত

ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় ধর্ষণের অভিযোগে পুত্রবধূর করা মামলায় তাঁর শ্বশুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বুধবার রাতে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ঘটনার সাত দিন চলে গেলেও মামলা নিচ্ছিল না চরফ্যাশন থানা-পুলিশ। বিষয়টি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর লিখিতভাবে জানান ওই গৃহবধূ। পরে বুধবার রাতে মামলাটি গ্রহণ করেছে পুলিশ। মামলার পরপরই প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়। বর্তমানে ওই গৃহবধূ চরফ্যাশন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন।

মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, ১ অক্টোবর রাতে স্বামীর বসতঘরে ঘুমিয়েছিলেন। ওই দিন বাড়িতে স্বামী ও শাশুড়ি কেউ ছিলেন না। তাঁর স্বামী চট্টগ্রামে দিনমজুরের কাজ করেন। আর শাশুড়ি বেড়াতে গেছেন। ওই রাতে তাঁর শ্বশুর পাশের কক্ষে শুয়েছিলেন। গভীর রাতে শ্বশুর তাঁর কক্ষে প্রবেশ করে মুখে গামছা গুঁজে তাঁকে ধর্ষণ করেন। এই ঘটনার পরপরই গৃহবধূ ঘর থেকে বের হয়ে পাশের চাচিশাশুড়ির বাড়িতে আশ্রয় নেন। তাঁর কাছে মুঠোফোন না থাকার কারণে তিনি ঘটনাটি তাৎক্ষণিক স্বজনদের কাউকে জানাতে পারেননি। পরদিন শুক্রবার বিকেলে বোন এলে তাঁকে জানান। এরপর তাঁর মা ঘটনাটি জানতে পেরে স্থানীয় গ্রাম পুলিশকে খবর দেন। গ্রাম পুলিশ ও তাঁর মা তাঁকে চরফ্যাশন থানায় নিয়ে যান। সেখানে থানার ওসি এজাহার লিখতে বলেন এবং তাঁকে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে বলেন।

গৃহবধূর দাবি, ঘটনার সাত দিন চলে গেলেও অজ্ঞাত কারণে পুলিশ মামলা রুজু করেনি। ঘটনার আলামত নষ্ট করার জন্য পুলিশ মামলা গ্রহণে সময়ক্ষেপণ করেছে।

চরফ্যাশন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনির হোসেন মিঞা বলেন, গৃহবধূর এজাহার হাতে পেয়ে উপপরিদর্শক নাসির উদ্দীনকে তিনি ঘটনাস্থলে পাঠান। প্রাথমিক তদন্ত শেষে দেখা যায়, ঘটনার সঙ্গে গৃহবধূর অভিযোগের গরমিল রয়েছে। ঘটনা ছিল বৃহস্পতিবার (১ অক্টোবর) দিনগত রাতের। কিন্তু ঘটনা প্রকাশ পায় শুক্রবার বিকেলে। তাৎক্ষণিক বিষয়টি কেন জানানো হয়নি। এসব কারণে মামলা গ্রহণে বিলম্ব হয়েছে। পরে পুলিশ সুপারের নির্দেশে মামলা গ্রহণ ও আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান