নৌকা পোড়ানোর ঘটনায় ২৯ জনকে অভিযুক্ত করে মামলা

প্রকাশিত

গত রোববার রাতে বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নৌকার ক্যাম্প পোড়ানোর ঘটনাকে কেন্দ্র করে ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে সোনারগাঁ থানায় মামলার জন্য একটি অভিযোগ পত্র দাখিল করা হয়েছে। তবে গতকাল অভিযোগ দায়ের করা হলেও এখন মামলা হয়নি বলে জানিয়েছেন বাদি বাচ্চু মিয়া।

অভিযোগ পত্রে বাচ্চু মিয়া উল্লেখ করেন, আমার ভাই মোঃ আল আমিন সরকার আসন্ন বৈদ্যেরবাজার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনীত নৌকা প্রতীক নিয়া নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে অংশ গ্রহন করবেন। আমি আমার ভাইয়ের পক্ষ হইয়া নির্বাচনে প্রচারনা চালাইয়া থাকি। নির্বাচনে প্রচারনার স্বার্থে নিয়ম মেনে দামোদরদী একটি অস্থায়ী নৌকার ক্যাম্প তৈরী করি। অপরদিকে আমার ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বি আনারস মার্কার প্রতীক মোঃ মাহবুব সরকার এবং ঘোড়া মার্কার প্রার্থী ডাঃ আঃ রব এর সমর্থকেরা আমার ভাই সহ তার কর্মীদের বিভিন্ন সময় নির্বাচনী প্রচারনার কাজে বাধা প্রদানসহ হুমকি দিয়ে আসছিল। আমি ও আমার ভাইয়ের সমর্থকেরা নৌকা প্রতীকের পক্ষ নিয়া এলাকায় প্রচারনা কালে আমার ভাইয়ের প্রতিদ্বন্দ্বি প্রার্থীগন সহ তাদের কর্মীগন আমাদের দেখে নিবে হুমকি সহ তাহারা ধারালো চাকু, ছোড়া, রামদা, টেটা, বল্লম, কোচ, হকিস্টেক, শাবল, এসএস পাইপ, এককালী টেটা, লাঠিসোঠা ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়া সকল এলাকায় মহড়া দেয় যাতে নৌকা প্রতীকের কোন সমর্থক রাস্থাঘাটে প্রচারনা করিতে না আসে।

তারই ধারাবাহিকতায় গত রোববার রাতে মোঃ বাছেদ মেম্বার (৬০), মোঃ বাচ্চু মিয়া (৫০), মোঃ সেলিম মিয়া (৩৪) আলআমিন (৩৫, মোঃ আলী (৩২), মোঃ ওসমান (৩৭), মোঃ মাহমুদুল্লাহ (৩৫), মোঃ আমির হোসেন, মোঃ আল আমিন, মোঃ রহুল আমিন মিয়া, মোঃ কবির হোসেন, মোঃ শহিদ, স্বরন মিয়া, মোঃ কালু মিয়া, সামসুল হক, রবিউল মাষ্টার, মোঃ আকবর হোসেন, মোঃ সাইদুল @ শহিদ, মোঃ শফিকুল ইসলাম, মোঃ খলিল, মোঃ আমিন, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ নিপুন, রিপন গাজী, মোঃ সানাউল্লাহ বেপারী, মোঃ দ্বীন ইসলাম, মোঃ মতিউর, মোঃ দাইয়ান মুন্সি, মোঃ সোহান, মোঃ মনির খন্দকার দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে নৌকার ক্যাম্প ভাংচুর করা হয়। এঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ থানা পুলিশ জানান, নৌকা পোড়ানোর ঘটনায় অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আপনার মতামত জানান