নোয়াগাঁওয়ের হালচাল, দৌড়ে এগিয়ে মটর সাইকেল
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ মনোনীত আব্দুল বাতেন নৌকা প্রতীক নিয়েও শক্ত অবস্থান তৈরি করতে ব্যর্থ হওয়ায় সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ান উদ্দিন চুন্নু ভোটের মাঠে এগিয়ে আছেন বলে জানিয়েছেন ইউনিয়নবাসী। এরপরের অবস্থান ধরে রেখেছেন সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান, সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল আলম এরপর নৌকার প্রার্থী আব্দুল বাতেন।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নের শতাধিক ভোটারের সাথে কথা বললে তারা জানান, সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের নিজ কেন্দ্র পরেশ্বরদী কেন্দ্রেই নৌকা প্রতিক শোচনীয়ভাবে পরাজিত হবেন। আহবায়ক ও উপজেলা চেয়ারম্যানের বাড়ির কেন্দ্র থেকে ইউসুফ দেওয়ান বিপুল ভোট পাবেন, দ্বিতীয় অবস্থানে থাকবেন সামসুল, তৃতীয় অবস্থানে চুন্নু এবং সর্বশেষ আব্দুল বাতেন। তবে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত নির্বাচনে এড. সামসুল ইসলাম ভুঁইয়ার কেন্দ্র থেকে তৎকালীন আওয়ামী লীগের মনোনীত নৌকা প্রতিকের ওেয়ানউদ্দিন চুন্নু ২ হাজার বোটের মধ্যে মাত্র ৭০ ভোট পেয়েছেন। নৌকার বেলায় এবার এ ফলাফলের ব্যতিক্রম হবে না বলে জানিয়েছেন একাধিক সুত্র।
স্থানীয়রা জানান, আওয়ামীলীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল বাতেনের সঙ্গে নির্বাচনী প্রতিদ্বন্ধিতায় নেমেছেন মটর সাইকেল প্রতীকে সাবেক চেয়ারম্যান দেওয়ান উদ্দীন চুন্নু, আনারস প্রতীকে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ান ও চশমা প্রতীকে সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল আলম। এ ইউনিয়নে জাতীয় পার্টি অন্য কৌশলে লড়ছেন। জাতীয় পার্টি সরাসরি প্রার্থী না দিয়ে কৌশলে ইউসুফ দেওয়ানকে মৌণ সমর্থন দিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী করেছেন। ইউসুফ দেওয়ানকে নির্বাচনে জয়ী করতেই আওয়ামী লীগ এখানে দুর্বল প্রার্থী দিয়েছেন বলেও জনশ্রুতি আছে। নোয়াগাঁও ইউনিয়নের ভোটররা জানান, নির্বাচনে আব্দুল বাতেনকে নৌকা প্র্রতীকে মনোনিত করার পরেই স্থানীয়রা বলছেন- তাকে ইউসুফ দেওয়ানের ড্যামী প্রার্থী করা হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণার শেষ দিনেও নৌকা প্রতীকের প্রার্থী এলাকায় সাড়া জাগাতে পারেননি।
নোয়াগাঁও ইউনিয়নের শতাধিক ভোটারদের জড়িপে এগিয়ে সাবেক চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা দেওয়ানউদ্দিন চুন্নু এগিয়ে। তাঁর সাথে প্রতিদ্বন্দ্বীতা হবে বর্তমান চেয়ারম্যান ইউসুফ দেওয়ানের। এরপরের অবস্থান সাবেক চেয়ারম্যান সামসুল ইসলাম ও আব্দুল বাতেনের। তবে সব জড়িপ ও জল্পনা কল্পনার অবসান হবে ভোটারদের ভোটে। এ জন্য অপেক্ষা মাত্র ৩৬ ঘন্টা।
আপনার মতামত জানান