‘দাও ফিরে সে অরণ্য’-জয়নুল আবেদীন
শৈশবে প্রথম কোরবানি দেখার সময়টা ঠিক মনে না থাকলেও শেয়ারে কোরবানি করার কথা ঠিকই মনে আছে। সাত শরিক মিলে কোরবানির গরু কিনতাম। তখন ‘গরু দিয়ে জমি চাষ’ শব্দটির বহুল পরিচয় থাকলেও ‘জমিতে গরুর চাষ’ শব্দটির সাথে একেবারেই পরিচয় ছিল না। ভারতবর্ষে সেই মান্ধাতার আমল থেকেই চাষ ও দুধের জন্য গরু ছিল অপরিহার্য। হিন্দু ধর্মে গরু শুধু অপরিহার্যই নয়, বরং পরম পূজনীয়। ইসলাম ধর্মে যেখানে ‘গরু জবাই’, হিন্দু ধর্মে সেখানে ‘গো-হত্যা’। পরস্পর বিপরীত কথা দু’টির প্রমাণ পেয়েছি গত ডিসেম্বর মাসে চিকিৎসা ভিসায় কলকাতা গিয়ে। ৪ ডিসেম্বর দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় শিরোনাম, ‘ভারতের উত্তর প্রদেশের বুলন্দশহর জেলায় গো-হত্যার প্রতিবাদে বিক্ষোভের মুখে পুলিশসহ দুই ব্যক্তি নিহত।’ বুলন্দশহরের সংখ্যালঘু মুসলিম সম্প্রদায়ের তিন দিনব্যাপী একটি ধর্মীয় অনুষ্ঠান চলছিল। এ জন্য মুসলিমরা গরু জবাই করে থাকতে পারেন। গরু জবাইকে গো-হত্যা গণ্য করে শুরু হয় প্রলয় কাণ্ড। তা নিয়ন্ত্রণে আনতে গিয়ে নিহত হয় পুলিশ। গরু নিয়ে এক ধর্মে যা পুণ্য, অপর ধর্মে তা পাপ।
মুকুন্দপুর রবীন্দ্রনাথ কার্ডিয়াক হাসপাতালে আমার পাশের বেডে রোগী ছিলেন টিভির ইংরেজি সিরিয়ালের অভিনেতা সমির মুখার্জি। কথাবার্তায় রাশভারী মুখার্জির সাথে রাজনীতি, সংস্কৃতি, ধর্ম ও দর্শন কোনো বিষয়েই আলাপ বাদ পড়েনি। আনন্দবাজার পত্রিকা হাতে নিয়ে গো-হত্যার বিষয়ে তাকে প্রশ্ন করেছিলাম, ‘দাদা, রোগের বেলায় কোনো ধর্ম নেই, নেই ওষুধের বেলায়ও; আমার আপনার ডাক্তারও এক, দু’জনের বেডের বেলায়ও নেই কোনো বাছবিচার, শুধু ‘ধর্ম’ নামক বস্তুটা আমাদের আলাদা করছে কেন? বুলন্দশহরে যা ঘটছে, তা আমাদের দৃষ্টিতে গরু জবাই, আপনাদের দৃষ্টিতে গো-হত্যা। আইনের দৃষ্টিতে কোনটা সঠিক?
তার উত্তর ছিল, ধর্মান্ধ সব ধর্মেই আছে। ধর্মান্ধের হাতে ধর্ম ড্রাইভ করা আর জন্মান্ধের হাতে গাড়ি ড্রাইভ করা এক কথা। ধর্মের কোন নীতি কোন উদ্দেশ্যে কখন অপরিহার্য ছিল, তা জানা আবশ্যক। ঋগে¦দ এবং সংহিতায় অশ্বমেধ যজ্ঞের ন্যায় গোমেধ যজ্ঞের কথাও বলা আছে। কিন্তু সে যুগেও কৃষিতে গরুর ভূমিকা ছিল অপরিসীম।
গোমেধ যজ্ঞের ফলে খাদ্য সমস্যা শুরু হয়। তাই ধর্মীয় অনুশাসনের মোড়কে গো-হত্যা নিষিদ্ধ করা হলো। ধর্মের জন্ম হয়েছিল সুন্দর জীবনব্যবস্থার জন্য। এ জন্য প্রতিটি মানুষকে কিছু নিয়মশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলতে হয়। যখন আইন ছিল না তখন ধর্মই ছিল সেই নিয়মশৃঙ্খলার ধারক-বাহক। এখন আইন আছে, ধর্মের প্রয়োজন কী? এখন ধর্মটা রাখা হয়েছে রাজনীতির প্রয়োজনে। লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য আইনের বুলি যেখানে অচল, সেখানে ধর্মের বুলি ব্যবহার করা হয়।
যা হোক, উভয় ধর্মের অনুসারীদের কাছেই গরু গুরুত্বপূর্ণ। মুসলমান বড় গৃহস্থের মধ্যে কেউ কেউ শখ করে ষাঁড় পালন করতেন। এটা করতেন কোরবানির জন্য নয়, ঈদের সময় গরুদৌড় ও ষাঁড়ের লড়াই প্রতিযোগিতার জন্য।
এক সময় এ দেশের ৮০ শতাংশ লোক কৃষির ওপর নির্ভরশীল ছিল। কৃষিকাজের জন্য গরু যতটা শক্তিশালী ততটা উত্তম। ফসল বিক্রির টাকা ছাড়া কৃষকের তেমন কোনো আর্থিক সংস্থান ছিল না। তারপরও একান্ত দায় না পড়লে কোনো কৃষকই চাষের গরু হাতছাড়া করতেন না। গাভী যত দিন দুধ দেয়ার যোগ্য থাকে, তত দিন থাকে ওর আদর-কদর। চাষের অযোগ্য বলদ আর দুধের অযোগ্য গাভী কৃষকের জন্য বোঝা। এই বোঝা হালকা করার মোক্ষম সময় ছিল কোরবানি। তাই এক সময় ‘কোরবানির গরু’ বলতে জীর্ণশীর্ণ হাড্ডি-চর্মসার বয়স্ক গরুকেই বুঝাত। শহুরে ব্যবসায়ী ও গাঁয়ের দু-একটি উচ্চবিত্ত পরিবার ছাড়া অনেক সামর্থ্যবান পরিবারও শেয়ারে বা শরিকে কোরবানি দিতেন। প্রতি শেয়ার ১০ টাকা করে ৭০ টাকায় কোরবানির গরু কিনতেও দেখেছি। এক কথায়, কোরবানির জন্য চাষের অযোগ্য গরুর সংখ্যাই বেশি ছিল। কোনো কোনো গরু এত বেশি অযোগ্য ছিল যে, হাট থেকে বাড়ি আনাই দায় হয়ে পড়ত। রাস্তায় শুয়ে পড়া কোরবানির গরু বাঁশের মাচায় তুলে ধরাধরি করে বাড়ি আনা কিংবা রাস্তায়ই জবাই করে গোশত নিয়ে আসার ঘটনা প্রায়ই শোনা যেত।
কৃষিকাজে এখন আর গরু তেমন ব্যবহৃত হয় না। কৃষিকাজে গরু অনিবার্য না হলেও অনিবার্য কোরবানির জন্য। কোরবানির জন্য শুরু হলো গরু পালন। গত পাঁচ দশকে সব কিছুর সাথে পাল্টে গেছে মানুষের রুচিও। জীর্ণশীর্ণ বয়স্ক গরুর দিকে কেউ ফিরেও তাকায় না এখন। গ্রাহকের রুচির কথা মাথায় রেখেই গরুকে দ্রুত ‘স্বাস্থ্যবান’ বানাতে হরমোন, স্টেরয়েড, উচ্চমাত্রার রাসায়নিক দ্রব্য অথবা ভিটামিন ইনজেকশনের মাধ্যমে অথবা খাবারের সাথে মিশিয়ে গরুর শরীরে ঢুকানো হয়। এ পদ্ধতিতে কোনো কোনো গরুর ওজন অল্প সময়ে অস্বাভাবিকভাবে বেড়ে যায়। প্রাকৃতিক নিয়মের বাইরে প্রস্তুতকৃত এসব গরুর গোশত মানবশরীরের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বলে জানিয়েছেন মৎস্য ও পশু স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করা স্বনামধন্য এনজিও প্রতিনিধি ও বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে, ‘ওষুধ দিয়ে মোটাতাজা করা গরু বা মহিষের গোশত খেলে মানুষের হৃৎপিণ্ড, লিভার ও কিডনির ক্ষতি হতে পারে। এতে পেট, ঘাড়, গলা ও মুখে জমতে পারে অতিরিক্ত চর্বি। এ ছাড়া, স্টেরয়েডের কারণে রক্তে গ্লুকোজের পরিমাণ বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের কারণে মৃত্যুঝুঁকি পর্যন্ত সৃষ্টি হয়ে যায়। অতিরিক্ত স্টেরয়েড মাংসপেশি ও অস্থির ক্ষয়জনিত জটিল রোগ সৃষ্টি করতে পারে। ফলে হাত-পায়ের মাংসপেশিতে টানসহ দুর্বলতা দেখা দিতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, স্টেরয়েডের জন্য মানবদেহের হাড়ের ঘনত্ব কমে দেখা দেয় অস্টিওপোরোসিস রোগ। নষ্ট হতে পারে চোখের দৃষ্টিশক্তিও। মাত্রাতিরিক্ত ডাইক্লোফেনাক ইনজেকশন পুশ করা গরু বা মহিষের গোশত খেলে মানুষের কিডনি ও লিভারসহ বিভিন্ন অঙ্গপ্রত্যঙ্গ বিকল হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এ ছাড়া শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গিয়ে সৃষ্টি হতে পারে বিভিন্ন প্রাণঘাতী রোগ।’
মানুষ যখন সৃষ্টির প্রথাগত নিয়মে নিজেদের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করে, তখন এই বিশ্বচরাচর গতিশীল, শান্তিময় ও আনন্দঘন হয়ে ওঠে। কিন্তু যখন এর ব্যত্যয় ঘটে, তখনই তা ছন্দ হারিয়ে ফেলে; ভারসাম্যও নষ্ট হয় এ সৃষ্টি জগতের।
বিষয়টি নিয়ে অতিপ্রাণবন্ত আলোচনা করেছেন এক সময়ের দায়রা জজ বাবু নরেন্দ্র কুমার দাস। মামলার শুনানির সময় কথা প্রসঙ্গে তিনি যা বলেছিলেন তার সারমর্ম হচ্ছে, প্রকৃতি নির্জীব, চলৎশক্তিহীন ও সর্বংসহা মনে হলেও আসলে তা নয়; বরং প্রকৃতি নির্মম প্রতিশোধ গ্রহণকারী। প্রকৃতিসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মানুষ যখনই সৃষ্টির প্রথাগত নিয়ম লঙ্ঘন করতে শুরু করে তখনই ভারসাম্যও নষ্ট হয় এই সৃষ্টির, শুরু হয় নির্মম প্রতিশোধ।
কয়েক বছরের অভিজ্ঞতায় এ বছর মানুষ খামারজাত মোটাতাজা গরু থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়ে খুঁজতে শুরু করেছেন গৃহস্থের সেই কর্মঠ ও চর্বিহীন গরু। ফলে এ বছর খামারে উৎপাদিত, গরুর বেশির ভাগ অবিক্রীত রয়েছে।
গরু ‘বানানো’ ছাড়াও যৌথ কোরবানির মধ্যে রয়েছে মিলেমিশে কাজ করার আনন্দ ও সৌহার্দ্যরে বন্ধন। সমমনা ও প্রায় অভিন্ন সামর্থ্যরে মধ্যে সাত পরিবার মিলে যেন হয়ে পড়ে এক পরিবার। গরু জবাই করার সময় ইমাম সাহেবের কাছে সাত শরিকের নাম প্রকাশ করা হতো। জবাইকৃত গরু শরিকেরাই বানাতেন। সত্তরের দশকে আমাদের গাঁয়ে ৮ থেকে ১০টি গরু কোরবানি হতো। শেয়ারের জোট দেখে সারা গ্রামকেই ৮-১০টি পরিবার মনে হতো। কোরবানির মাধ্যমে সৃষ্ট এ বন্ধন চলে আসছিল যুগের পর যুগ। জোটবদ্ধতা মনুষ্য জীবনের মূল্যবোধ বৃদ্ধির অন্যতম শর্ত। এসব বন্ধন যতই আলগা হচ্ছে, ততই বাড়ছে অপরাধপ্রবণতা। গ্রাম ছেড়ে আসার আগ পর্যন্ত জোটবদ্ধভাবেই কোরবানি দিতাম। চাচা, জেঠাসহ দুই পরিবারের সাত ভাগে কোরবানি। গরু জবাইয়ের পর চামড়া ছাড়ানো ও হাড় কাটাই ছিল জটিল কাজ। এ দুই পরিবারের মধ্যে যারা এক্সপার্ট ও পেশিবহুল, তারা করতেন এ জটিল কাজটি। হাড় কাটার জন্য এবাড়ি-ওবাড়ি থেকে কুড়াল ধার করতে হতো। যতক্ষণ গোশত কাটার কাজ চলত সে কয়েক ঘণ্টা চলত গল্পগুজব ও মুড়ি-মুড়কি খাওয়া। মা-চাচীরা ঈদের এক মাস আগ থেকে ভাতের সেমাই শুকানোসহ চিঁড়া, মুড়ি ও খই ভেজে রাখতেন। এসব মিলিয়ে ঈদের আগের দিন গরম গুড়ের সাথে পাকিয়ে রাখা মচমচে মুড়কি-মুড়ি খাওয়া চলত দীর্ঘ দিন ধরে। গোশত কাটার সময় গল্পগুজবকালে কিছুক্ষণ পরপর আসত চামড়ার বেপারি। চামড়ার ব্যবসায় প্রচুর লাভ দেখে নামত মওসুমি ব্যবসায়ীরাও। নতুন-পুরনো ব্যবসায়ীর সাথে চামড়ার দাম হাঁকাহাঁকি নিয়েও চলত রঙ্গরসের কথা ও হাস্যকৌতুক। সে সময়ে চামড়ার মূল্য এতই বেশি ছিল যে, কখনো কখনো গরুর মোট মূল্যের এক-পঞ্চমাংশ পাওয়া যেত চামড়া বিক্রির টাকা থেকে। কোরবানির গোশত খাওয়ার চেয়েও বেশি মজা পেতাম গোশত কাটার সময় গল্পগুজবকালে।
শৈশবে আরো ছিল ঢোল বানানোর নেশা। এখন যেটাকে ‘বট’ বলা হয়, সেটার নাম ভুঁড়ি। ধর্মীয় বিধিনিষেধের কারণে ভুঁড়ি খাওয়া বারণ ছিল। তাই গরু জবাই করার পর প্রথমেই তা ফেলে দেয়া হতো। ভুঁড়ির ময়লা ফেলে কালো অমসৃণ অংশ পাতলা করলে হয় পর্দা। হাঁড়ি বা কলসির কানার ওপর বিশেষভাবে পর্দা আটকিয়ে রোদে শুকিয়ে টানটান করলেই ঢোল। ঈদের দিন থেকে শুরু ঢোল বাজানো।
শহরের সাথে গাঁয়ের যোগাযোগ সচল হওয়ার পর জানতে পারি সবচেয়ে বেশি স্বাদ ভুঁড়ির ফেলে দেয়া অংশেরÑ আর পায় কে! ভুঁড়ির ভাগ নিয়ে টানাটানি শুরু হয়ে যায় গ্রামেও। ভুঁড়ি খাওয়া শুরু করতেই বন্ধ হয়ে গেছে ঢোল বানানো।
গরু কাটা-বাটার পর গোশত ঘরে আসত আসরের আজানের সময়। বাবা গোশত ধোয়ার জন্য নৌকায় করে স্রোতে নিয়ে যেতেন। বাড়িতে মা গরম পানি করে রাখতেন। উত্তমরূপে বাছাই ও ধোয়ার পরে আবার গরম পনিতে ডুবিয়ে ছেঁকে তুলে বড় গামলায় নিয়ে মসলা মাখতে শুরু করতেন। হলুদ-লবণসহ নানা প্রকার মসলা মেশানো হলে মুখে দিয়ে ঝাল-লবণ পরীক্ষা করতেন। জিহ্বায় স্বাদ নিয়ে মনের মতো হলে বড় হাঁড়িতে করে চুলায় চড়াতেন। কয়েক ঘণ্টা সিদ্ধ করার পর মুখে দিয়ে পরীক্ষা করতেন। বাবার মতে, মাথা থেকে ঘাম বের না হলে কিসের গোশত খাওয়া! ঘাম বের হওয়া ঝালসহ গোশতের টেস্ট পরীক্ষার মিটার হিসেবে কাজ করতাম আমরা। লবণ-মরিচ আমরা ‘ঠিক’ বললেই ঠিক। অর্ধসিদ্ধ অবস্থায় গোশত পরীক্ষা শুরু করতাম, পূর্ণ সিদ্ধ হওয়ার আগেই দাঁত ও মুখের বারোটা বাজতে শুরু করত। অর্ধসিদ্ধ গোশতের আঁশ দাঁতের ফাঁক দিয়ে ঢুকে কখনো কখনো ভীষণ যন্ত্রণার কারণ হয়ে উঠত।
আজ কোরবানি দিতে গিয়ে মনে পড়ে শৈশবের জোটবদ্ধভাবে গৃহস্থের দলের সেই কর্মঠ ও চর্বিহীন গরু কোরবানির কথা। আমাদের জোটের সাত চাচা-জেঠার সবাই অন্য জগতে চলে গেছেন বহু আগেই। হাস্যরস ও গল্পগুজবকারী ভাইদের মধ্যে অনেকেই আজ পরপারে। শুধু কোরবানি নয়, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সৃষ্টির প্রথাগত নিয়মের বাইরে ক্ষ্যাপার মতো পরশপাথর খুঁজতে গিয়ে কবির ভাষায় বলতে হয়, ‘দাও ফিরে সে অরণ্য, লও এ নগর’।
লেখক : আইনজীবী ও কথাসাহিত্যিক
(সুত্র-নয়াদিগন্ত)
আপনার মতামত জানান