তত্ত্বাবধায়ক সরকার ছাড়া কোনো নির্বাচন হবে না: মির্জা ফখরুল

প্রকাশিত



বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের অধীনে হলে সে নির্বাচনে বিএনপি অংশ নেবে না। তত্ত্বাবধায়ক ও নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া এ দেশে কোনো নির্বাচন হবে না।

মির্জা ফখরুল গতকাল শুক্রবার ঠাকুরগাঁওয়ের কালিবাড়ীতে নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন। বিএনপি মহাসচিব বলেন, আওয়ামী লীগের যে প্রধান সহযোগী দল জাতীয় পার্টির প্রধানও বলেছেন বাংলাদেশে একনায়কতন্ত্র চলছে।

আন্তর্জাতিকভাবেও স্বীকৃত হয়েছে বাংলাদেশে গণতন্ত্র নেই। এমন পরিস্থিতির মধ্যে বিএনপি দলীয় কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। বিএনপি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে জনগণের সমস্যা সমাধানে আন্দোলন করছে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্যবৃদ্ধি, জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রতিবাদ, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিলসহ গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের দাবিতে বিএনপি আন্দোলন করছে।

মির্জা ফখরুল বলেন, ১৫ অক্টোবর ময়মনসিংহে বিএনপির পূর্বঘোষিত সমাবেশ রয়েছে; কিন্তু আওয়ামী লীগ নিজেদের আসল চেহারা উন্মোচন করে সেখানে উল্টো সমাবেশ ডেকেছে, যে সমাবেশের কোনো কারণই ছিল না। এর অর্থ হলো, আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না।

মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি ইউনিয়ন পর্যায় থেকে শুরু করে বিভাগীয় পর্যায়ে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ করছে; কিন্তু সমাবেশে আসার পথে বিএনপির কর্মীদের হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও পুলিশ গ্রেপ্তার করছে। তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ নিজেরাই গোলযোগ সৃষ্টি করে বিএনপির কর্মীদের নামে অসংখ্য মামলা দিয়েছে। মামলার সংখ্যা ২৫ হাজার ছাড়িয়েছে। তার পরও বিএনপি গণতান্ত্রিকভাবেই জনগণের অধিকার আদায়ে কাজ করে যাচ্ছে, যেখানে কোনো বাধাই মানা হবে না। চট্টগ্রামের সমাবেশ ও জেলা পর্যায়ের সমাবেশের মধ্য দিয়ে প্রমাণ হয়ে গেছে।

জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিষদের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশের নির্বাচিত হওয়া প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, এটা সদস্য রাষ্ট্রগুলোর ভোটে হয়ে থাকে, সেটা খুব বড় বিষয় নয়। নিরাপত্তা পরিষদের সদস্য হিসেবে অনেক দেশ আছে, যাদের কোনো মানবাধিকারই নেই। সেই দেশগুলোর মানবাধিকার সম্পর্কে গণতান্ত্রিক দেশগুলোর আপত্তি আছে। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ বলছে দেশে মানবাধিকার নেই, সরকার গুম করছে, মিছিলের ওপর সরাসরি গুলি করা হয় এবং এটাই এ দেশের আসল চিত্র, যা বিএনপি তুলে ধরে। আর এ জন্যই বিএনপি বলে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা শুধু র‌্যাবকে নয়, নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে বর্তমান অনির্বাচিত সরকারকে। র‌্যাব হলো রাষ্ট্রের একটি প্রতিষ্ঠান, যে প্রতিষ্ঠান রাষ্ট্রের সরকার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

আপনার মতামত জানান