গৃহবধূ ধর্ষণ : অস্ত্র উদ্ধার

প্রকাশিত



সিলেটের মুরারিচাঁদ (এমসি) কলেজের ছাত্রাবাসে স্বামীকে মারধর করে আটকে রেখে গৃহবধূকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত ছাত্রলীগ নেতার কক্ষ থেকে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

আজ শনিবার সকালে শাহপরান (র.) থানা পুলিশের উপ পরিদর্শক (এসআই) মিল্টন সরকার বাদি হয়ে সাইফুর রহমান নামের ছাত্রলীগ ক্যাডারকে আসামি করে অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় একটি মামলা দায়ের করেন।

এর আগে ধর্ষণের ঘটনায় মামলা দায়ের করেছেন ওই নারীর স্বামী। শনিবার ভোর রাতে ৬ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ২/৩ জনকে অভিযুক্ত করে নগরের শাহপরান থানায় এ মামলা দায়ের করা হয়। ধর্ষণে অভিযুক্তরা হলেন- এমসি কলেজ ছাত্রলীগ নেতা এম সাইফুর রহমান, ইংরেজি বিভাগের মাস্টার্সের শিক্ষার্থী শাহ মো. মাহবুবুর রহমান রনি, তারেক আহমদ, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম ও মাহফুজুর রহমান মাছুম। অভিযুক্ত তারেক ও রবিউল বহিরাগত হলেও বাকি চারজন এমসি কলেজের শিক্ষার্থী।

এ ঘটনায় সবাইকে ছাত্রাবাস ছাড়ার নির্দেশ দিয়েছে কলেজ কর্তৃপক্ষ। করোনাভাইরাসের কারণে কলেজ ও ছাত্রাবাস বন্ধ থাকলেও ছাত্রলীগ ক্যাডার সাইফুর রহমানসহ কয়েকজন ছাত্রাবাসে বসবাস করতেন।

বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মহানগরীর শাহপরাণ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল কাইয়ুম বলেন, শনিবার ভোরে অভিযানে ছাত্রাবাসে সাইফুর রহমানের কক্ষ থেকেই একটি পাইপগান, চারটি রামদা ও একটি চাকু, দুটি লোহার পাইপ, প্লাসসহ বিভিন্ন জিনিস জব্দ করা হয়েছে।

গতকাল শুক্রবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে স্বামীকে আটক রেখে ওই গৃহবধূকে ছাত্রলীগের ৬ জন নেতাকর্মী গণধর্ষণ করে বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। খবর পেয়ে রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই দম্পতিকে ছাত্রাবাস থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। পরবর্তীতে ধর্ষণের শিকার তরুণীকে সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ওসিসি সেন্টারে ভর্তি করা হয়।

ওই নবদম্পতি শুক্রবার বিকেলে প্রাইভেটকারে এমসি কলেজে বেড়াতে যান। বিকেলে এমসি কলেজের ছাত্রলীগের ছয়জন নেতাকর্মী স্বামী-স্ত্রীকে ধরে ছাত্রাবাসে নিয়ে প্রথমে মারধর করে। পরে স্বামীকে আটকে রেখে স্ত্রীকে গণধর্ষণ করে।

আপনার মতামত জানান