খালাতো বোনকে ধর্ষণের পর পতিতা পল্লীতে বিক্রি করে দেন নাজমুস সাকিব

প্রকাশিত


নিজস্ব প্রতিবেদক

নেশাগ্রস্ত ও বিকৃত যৌনাচারে অভ্যস্ত নাজমুস সাকিবের ধর্ষনের শিকার হন নিজ খালাতো বোন কাজী রুবাইয়া। কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজে পড়ার সময় একাধিকবার ধর্ষনের শিকার হন রুবাইয়া। নিয়মিত ধর্ষনের একপর্যায়ে নেশার টাকা যোগাতে ঘুরতে যাওয়ার কথা বলে দৌলতদিয়ার পতিতা পল্লীতে নিয়ে রুবাইয়াকে বিক্রি করে দেন। পরে সেখান থেকে ২ মাস পর রুবাইয়াকে উদ্ধার করে গর্ভবর্তী অবস্থায় নাজমুস সাকিবের সঙ্গেই বিয়ে দেওয়া হয়।

জানা গেছে, কাজী রুবাইয়া রাজধানীর কমলাপুর স্কুল এন্ড কলেজে পড়ালেখা করেছেন।পরিবারসহ থাকতেন সবুজবাগ এলাকায়। স্থায়ী ঠিকানা নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁও উপজেলার জামপুর ইউনিয়নের পাকুন্দা গ্রামের কাজী বাড়ি। পিতার নাম আজিলুরজ্জামান আদু।

ক্লাস টেনে পড়া অবস্থাতেই রুবাইয়ার উপর কুদৃষ্টি পড়ে নাজমুস সাকিবের। নানাভাবে ফুসলিয়ে করেন ধর্ষণ। দেড় বছর ধর্ষণ করার পর কলেজে পড়া অবস্থায় রুবাইয়াকে একদিন ঘুরতে যান নাজমুস সাকিব। এই ঘুরতে যাওয়াই রুবাইয়ার জীবনে সব চেয়ে বড় কলংক ঢেকে আনলো। রুবাইয়া হয়ে গেলেন দৌলতদিয়ার পতিতা পল্লীর পতিতা। কারণ নাজমুস সাকিব নিজের নেশার টাকার জন্য তাকে সেখানে বিক্রি করে দিয়েছে।

রুবাইয়ার বাবা আজিলুরজ্জামান আদু বাদী হয়ে মেয়ে নিখোঁজের এ ঘটনায় সাধারণ ডায়েরিও করেন। সবুজবাগ থানা পুলিশ, চাচা, মামারা অনেক খোঁজাখুজির পর রুবাইয়া দৌলতদিয়ার পতিতা পল্লীতে আছেন বলে জানতে পারেন। পরে থানা পুলিশের সহায়তায় রুবাইয়াকে সেখান থেকে উদ্ধার করেন। ততদিনে খদ্দরের সঙ্গে প্রতিনিয়ত মেলামেশায় গর্ভবর্তী হয়ে পড়েন রুবাইয়া।

উদ্ধারের পর পরিবারের সদস্যদের নাজমুস সাকিবের ধর্ষন, ঘরুতে যাওয়া ও দৌলতদিয়ার পতিতা পল্লীতে বিক্রি করে দেওয়ার ঘটনাসহ সবকিছু খুলে বলে রুবাইয়া। রুবাইয়ার উপর নাজমুস সাকিবের এমন অমানবিক নির্যাতন ও পতিতা পল্লীতে গর্ভবর্তী হয়ে যাওয়ার ঘটনায় সম্মান বাঁচাতে সবাই মিলে নাজমুস সাকিবের সঙ্গেই রুবাইয়ার বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন। পরে জোর করে বিয়েও সম্পন্ন হয়। আর নাজমুস সাকিব এখন রুবাইয়ার পতিতা পল্লীর জীবনের সেই সন্তানের পিতা।

অথচ সবুজবাগ এলাকাবাসীদের জানান নিখোঁজের দুই মাস নাজমুস সাকিবের সঙ্গে পালিয়ে বিয়ে করে সংসার করেছিল রুবাইয়া। গর্ভের সন্তানও নাজমুস সাকিবের।

এদিকে শিশু ধর্ষনের মামলার গ্রেফতারি পরোয়ানা নিয়ে পালিয়ে গিয়ে এখন যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন নাজমুস সাকিব। সেখানেও তার বিকৃত যৌনাচার থেমে নেই। সম্প্রতি তার স্ত্রী রুবাইয়া যৌন বিকৃতি, সমকামিতা এবং যৌন নির্যাতনের অভিযোগে মামলা করেছেন ফ্লোরিডা ডিষ্টিট কোর্টে।পরে পারিবারিক হস্তক্ষেপে সেই বিরোধ আপোষ করা হয়।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রে বসে অনলাইন ভিত্তিক নাগরিক টিভিতে রাষ্ট্রবিরোধী নানা কাল্পনিক তথ্য উপস্থাপন করছেন নাজমুস সাকিব। সরকারের বিভিন্ন সংস্থা বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এরকম ১৫ জন সাইবার সন্ত্রাসীকে সনাক্ত করেছে। সেখানেও নাম আছে নাজমুস সাকিবের। এরা বিদেশে বসে বাংলাদেশ বিরোধী ভয়ংকর অপপ্রচারে লিপ্ত রয়েছে। সরকারের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এবং শিল্প গোষ্ঠীর উর্ধ্বতনদের নিয়ে নানাভাবে মিথ্যাচার করে।
নাজমুস সাকিবের বাবা জলিলুল আজম ছিলেন জামায়াতের রাজনীতিতে সম্পৃক্ত। সে আইডিয়াল স্কুলে এবং নটরডেম কলেজে পড়াশুনা করেন। সে মাদক এবং নারী কেলেংকারী ছিল তার নিত্ত নৈমত্তিক ঘটনা। দুইবার মাদক নিয়ে প্রেপ্তারও হয়েছিল।

আপনার মতামত জানান