কোন পথে সোনারগাঁয়ের রাজনীতি?

প্রকাশিত

বিশেষ প্রতিবেদক, ডেইলি সোনারগাঁ:
সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি, সহ সভাপতি ও সাধারন সম্পাদকের সর্বশেষ প্রস্তাবিত কমিটি থেকে রহস্যজনকভাবে ১৮ জনকে বাদ দিয়ে জেলা আওয়ামী লীগ তাদের পছন্দের ১৮ জনকে কমিটিতে অন্তভুক্ত করেছে। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ইতিহাসে এমন ঘটনা বিরল। নিয়মানুযায়ী উপজেলার রাজনীতি চর্চা উপজেলাতেই হয়। উপজেলার নেতৃবৃন্দ উপজেলার তৃণমূল নেতাকর্মীদের হাড়ির খবর রাখেন। তাই উপজেলা আওয়ামী লীগের প্রস্তাবিত কমিটিকেই চূড়ান্ত হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগ অনুমোদন দেন।

এখন প্রশ্ন হলো সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগের রাজনীতিটা কি তাহলে জেলা আওয়ামী নেতারা পরিচালনা করবেন? যদিও করেন তাহলে সোনারগাঁ পৌরসভা সম্মেলন সহ যে কোন আন্দোলন সংগ্রাম সফল করতে হাজী আতাউর রহমান আক্তার ও কবির হোসেন সহ বাদ পড়া ত্যাগী নেতা কর্মীরা যে বিশাল মিছিল নিয়ে হাজির হতেন এত নেতাকর্মীর সমাগম কোথা থেকে ঘটাবেন।

মিছিলের শহর হিসেবে পরিচিত পিরোজপুর ইউনিয়ন ও শম্ভুপুরা ইউনিয়নকে যেভাবে কোনঠাসা করা হয়েছে তাদের ছাড়া রাজপথ কাদের নিয়ে সামলাবেন? শম্ভুপুরার সদ্যপ্রয়াত সংগ্রামী নেতা নাছির মেম্বারের অবর্তমানে তার ছেলে রাসেলের ডাকে যে পরিমান নেতাকর্মী সমবেত করেছে সেই রাসেলকে কিভাবে শান্তনা দিবেন।

সোনারগাঁয়ের প্রয়াত সংগ্রামী নেতা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক আব্দুল হাইয়ের সন্তান আহসান হাবিব টিপু, সনমান্দীর বীর মুক্তিযোদ্ধা মুজিবুর রহমানের পরিবারের কেউ কি যোগ্য ছিল না। নাকি অন্য কোন কারন আছে?

পিরোজপুর ইউনিয়নের তাজুল ইসলাম, হালিম মেম্বার, মোশারফ মেম্বার দলের রাজনীতি করতে গিয়ে যে পরিমান হামলা মামলার শিকার হয়েছেন এমন নজির আর কয়টা আছে? কাঁচপুরের ওবায়দুল হক মাস্টারের মতো ত্যাগীরাও কেন পদ বঞ্চিত হলো এর উত্তর কে দিবে? তবে কি সোনারগাঁ উপজেলা আওয়ামীলীগকে চিরতরে ধ্বংসের পায়তারা চলছে? অনেক নেতাকর্মী বলেছেন ধ্বংসের পায়তারা নয় জামাত, বিএনপি ও জাতীয় পার্টির বি-টিম হিসেবে কাজ করা বিতর্কিতদের সমন্বয়ে গঠিত এ কমিটির ঘোষনা বলে দেয়, সোনারগাঁ আওয়ামীলীগকে ধ্বংসের চূড়ান্ত রূপরেখা প্রকাশ করা হয়ে গেছে।

এখন সময়ের অপেক্ষামাত্র!! আওয়ামীলীগের দুঃসময়ে নতুন কমিটি রাজপথে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে?

আপনার মতামত জানান