কিভাবে ঈদের নামাজ পড়ব

প্রকাশিত

বছর ঘুরে আমাদের মাঝে হাজির হলো পবিত্র ঈদুল আজহা। মহান আল্লাহ মুসলমানদের জন্য দুটি দিনকে ঈদের দিন হিসেবে নির্ধারিত করেছেন। এই দিনগুলোতে ঈদের নামাজ পড়া ওয়াজিব। পবিত্র কোরআনে মহান আল্লাহ ইরশাদ করেছেন, ‘অতএব তোমার রবের উদ্দেশ্যেই নামাজ পড়ো এবং কোরবানি করো।’ (সুরা আল কাউসার, আয়াদ : ২)

ঈদের নামাজের পদ্ধতি স্বাভাবিক নামাজের মতো নয়। যেমন—ঈদের দুই রাকাত নামাজের কোনো আজান ইকামত নেই। তাতে অতিরিক্ত ছয়টি তাকবির আছে। সেগুলো আদায়ের নির্দিষ্ট নিয়ম রয়েছে। নিম্নে সেই নিয়মগুলো তুলে ধরা হলো—

১. প্রথমত স্বাভাবিক নামাজের মতোই তাকবিরে তাহরিমা বলে হাত বাঁধবে। তারপর সানা পাঠ করবে।

২. তারপর অতিরিক্ত তিনটি তাকবির বলবে। প্রথম দুই তাকবিরে হাত তুলে ছেড়ে দেবে। এবং তৃতীয় তাকবিরে হাত বেঁধে ফেলবে।

৩. তারপর আউজুবিল্লাহ ও বিসমিল্লাহ পড়ার পর ইমাম সাহেব সুরা ফাতেহা পড়ে এর সঙ্গে অন্য একটি সুরা মেলাবেন।

৪. তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই রুকু-সেজদা করে প্রথম রাকাত শেষ করবেন।

৪. দ্বিতীয় রাকাতে ইমাম কিরাত পড়া শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে অতিরিক্ত তিন তাকবির দেবেন। মুসল্লিরাও অনুরূপ করবে। প্রতি তাকবিরের সঙ্গে হাত উঠাবে এবং ছেড়ে দেবে। তারপর চতুর্থ তাকবির বলে রুকুতে চলে যাবে।

৫. তারপর স্বাভাবিক নামাজের মতোই নামাজ শেষ করবেন।

৬ নামাজ শেষে ইমাম মিম্বরে উঠে দুটি খুতবা দেবেন। এ সময় ইমাম সাহেবের খুতবা মনোযোগ সহকারে শুনতে হবে। কোনো ধরনের কথা বলা অন্য কাজে ব্যস্ত হওয়া যাবে না।

৭. খুতবা শেষে দোয়া হবে। দোয়ার পর সবাই ঈদগাহ ত্যাগ করবেন। (হেদায়া ও বাহরুর রায়িক, নামাজ অধ্যায়)

সূত্রঃ কালেরকণ্ঠ।

আপনার মতামত জানান