কাঁচপুরের মূর্তিমান আতঙ্কের নাম ‘মোমেন’

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলায় কাঁচপুর ইউনিয়নে মূর্তিমান আতঙ্কের নাম মোমেন এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় এলাকাবাসী। চাঁদাবাজি হত্যা মাদক ব্যবসা ও অপহরণ সহ অসামাজিক কাজের গডফাদার।সে একাধিক হত্যা ও অস্ত্র মামলার চার্জষিটভূক্ত আসামী। সে কাঁচপুর ইউনিয়নের সোনাপুর এলাকার হাজী আমির হোসেনের ছেলে

মোমেনের অত্যাচারে অতিষ্ট এলাকাবাসী জানমালের নিরাপত্তা চেয়ে সাধারন ডায়েরি, অভিযোগ ও মামলা করলেও থানা পুলিশ কোন পদক্ষেপ নিচ্ছে না। আজ (৮ মে) শনিবার সকালে মোমেনের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবীতে এলাকাবাসী বিক্ষোভ মিছিল ও মানব বন্ধন করেন। পরে সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান ঘটনাস্থলে গিয়ে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার আশ্বাস দিলে এলাকাবাসী শান্ত হয়।

এলাকাবাসী জানান, একজন চিহ্নিত সন্ত্রাসী এলাকায় প্রকাশ্যে নানা অপরাধ করলেও পুলিশ তার টিকিটি ছুতে পারছে না বলে সে এলাকায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নামে খ্যাত।পুলিশ তাকে খুজে না পেলেও মাঝে মাঝে সে পুলিশের হোন্ডার পিছনে বসে এলাকায় মহড়া দিয়ে আসেন বলেন একাধিক সুত্র নিশ্চিত করেছে। এ দৃশ্য দেখে আতঙ্কিত এলাকাবাসী এখন নিজের ঘরে থাকতে ও নিরাপদ বোধ করে না । জানা যায়, মোমেন মিয়ার রয়েছে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাস বাহিনী।

মোমেন মিয়া জামাত বিএনপির সময় তারেক জিয়ার ঘনিষ্টজন হিসেবে এলাকায় সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজি এবং অস্ত্র ব্যবসা করে অনেক প্রতিপত্তির মালিক হন। বর্তমান সরকার ক্ষমতার আসার পর ২০০৮ সালে সে সাউথ আফ্রিকা পালিয়ে যায়। পরে কাঁচপুরের স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতাদের ম্যানেজ করে সে দেশে এসে আওয়ামীলীগে যোগদোন করে। কাঁচপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের বিভিন্ন নেতাকর্মীর সাথে শুরু হয় তার বেপরোয়া অপকর্ম । তৈরি করে মোমেন বাহিনী ।

নিয়ন্ত্রণ করে পুরো কাঁচপুর ইউনিয়ন । অস্ত্র, মহাসড়কে চাঁদাবাজি এবং কাঁচপুর বাজার থেকে চাঁদাবাজি করে হাতিয়ে নিচ্ছে দৈনিক লক্ষ লক্ষ টাকা। এলাকাবাসীর অভিযোগ টাকার জোড়ে স্থানীয় প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণের বাহিরে রয়েছে মোমেন ও তার বাহিনী । সে নিজেকে কাঁচপুরের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পরিচয় দিয়ে থাকেন বলে জানায় এলাকাবাসী। অত্যাচার, নির্যাতন, হামলা-মামলা ও গুম হওয়ার ভয়ে এলাকায় তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুলতে সাহস পায় না ।

গত ৩০ মে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় কয়েকটি বাড়ি ভাংচুর করে স্বর্ণলংকার ও নগদ টাকা লুট করেছে । এ সময় বৃদ্ধাসহ ৫জনকে পিটিয়ে আহত করেছে।এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় মামলা দায়ের করলেও পুলিশ এখনো কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেন।

সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, মাদক,সন্ত্রাস ও চাঁদাবাজির বিরুদ্ধে সোনারগাঁ থানা পুলিশ জিরো টলারেন্স ঘোষনা করেছে। সন্ত্রাসী যতোই ক্ষমতাবান হউক না কেন আইনের উর্ধ্বে নয়।

আপনার মতামত জানান