ঔষধ কম্পানীর দানে ডাক্তারদের আয়েশী জীবন

প্রকাশিত

সরকারি বেসরকারি ক্লিনিকের চিকিৎসকরা কিছুদিন পরপর সপরিবারে বিশ্বির বিভিন্ন দেশে স্বপরিবারে ঘুরে আসেন ঔষধ কম্পানীর টাকায় অনুসন্ধানে এমনই তথ্য বেরিয়ে এসেছে। অনুমোদনবিহীন ঔষধ, অতিরিক্ত ঔষধ ও অপ্রয়োজনীয় ফুড সাপ্লিমেন্ট ব্যবস্থাপত্রে লিখে কম্পানীর কাছ থেকে এমন সুবিধা নেওয়া হচ্ছে বলেও জানা যায়।

অনুসন্ধানে জানা গেছে, ওষুধ কোম্পানিদের কাছ থেকে উপঢৌকনের বিনিময়ে ওষুধ লেখা, কমিশনের কারণে অপ্রয়োজনীয় ওষুধ ও পরীক্ষা পেসক্রাইব, নিষিদ্ধ ওষুধ লেখা, অনুমোদনবিহীন ডিগ্রি ব্যবহার করা, সনদের মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন না করা, করোনারি স্টেন্ট স্থাপন, ইন্ট্রাকুলার লেন্স স্থাপনে কমিশন বাণিজ্য, ওষুধ ও সার্জ্যক্যিাল দোকানীদের মাধ্যমে অর্থ আদায়, সরকারী হাসপাতালে কর্মরত থেকে অফিস সময়ে বেসরকারীতে রোগী দেখা, নিজেদের ডায়াগনোস্টিক সেন্টার, ক্লিনিক ও হাসপাতালে দালাল নিয়োগ করে রোগী ভাগিয়ে নেয়া এখন চিকিৎসকদের নিয়মরীতিতে পরিণত হয়েছে।

বিআইডিএস’র সিনিয়র গবেষণা সহযোগী নাজনীন আহমেদ বলেন, ওষুধ প্রস্তুতকারীরা কখনও কখনও চিকিৎসকদের উপহার দেয় বা চিকিৎসকদের অ্যাকাউন্টে প্রচুর পরিমাণে অর্থ দেয়। যাতে তারা তাদের ওষুধের পরামর্শ দেয়ার জন্য উৎসাহ বোধ করে। আর এসব কাজ করা হয় কোম্পানির এমআরের মাধ্যমে। তিনি বলেন, বিপণনে ওষুধ কোম্পানীর ব্যয় ওষুধের উৎপাদন ব্যয়ে যোগ হওয়ায় বাজারে ওষুধের দাম বেড়ে যায়।

অবশ্য গবেষণায় ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলোও বলছে, তারা চিকিৎসককে মোটিভেট করে। এমআরদের কাছে জানতে চাইলে তারা উপহার দেয়ার তথ্য জানিয়েছেন। বড় সেমিনারে পুরো পরিবারসহ যাওয়ার খরচ তারা বহন করেন। কিংবা হলিডে পালনের ব্যয়ও বহন করেন তারা। বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনও ওষুধ প্রতিষ্ঠানগুলো করে থাকে এমআরদের মাধ্যমে। শুধু চিকিৎসক নন, বড় ফার্মেসিতেও ওষুধ বিপণনের ক্ষেত্রে বিপুল পরিমাণ ব্যয় বহন করে থাকেন এমআররা, যা পণ্য মূল্যতেও প্রভাব রাখে।

আপনার মতামত জানান