এমপি ও উপজেলা আ.লীগের সভাপতি গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ৪৫

নান্দাইল প্রতিনিধি:
দাওয়াত না দেওয়ায় ময়মনসিংহের নান্দাইলে সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিন ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মেজর জেনারেল (অব.) আব্দুস সালাম গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আজ সোমবার বেলা ১১টার দিকে নান্দাইল উপজেলা পরিষদের সামনে ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে এ সংঘর্ষ হয়।
সংঘর্ষে পুলিশ ও শিক্ষার্থীসহ উভয় পক্ষের ৪৫ জনের মতো আহত হয়েছেন। ঘণ্টাব্যাপী চলা সংঘর্ষ টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে নিয়ন্ত্রণে আনে পুলিশ ।
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (গৌরীপুর সার্কেল) মো. সুমন মিয়া বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের দুপক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল ছোড়াছুড়ি ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে পরিস্থিতি পুলিশে নিয়ন্ত্রণে আছে।’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান কবির বিন আনোয়ারের রোড টু স্মার্ট বাংলাদেশ প্রোগ্রামে উপজেলা আওয়ামী লীগকে আমন্ত্রণ না জানানোকে কেন্দ্র করে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান ও এমপি তুহিনের সঙ্গে বাগবিতণ্ডা হয়। এর একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। পরে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দুই গ্রুপ সংঘর্ষে জড়ায়। তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের ছোড়া টিয়ারশেলে নান্দাইল পাইলট উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের ৭ জন শিক্ষার্থী আহত হয়।
এ দিকে সংঘর্ষের একপর্যায়ে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা উপজেলা পরিষদের হলরুমের কাচের দরজা, জানালা ও সামনে দাঁড়িয়ে থাকা ১০টি মোটরসাইকেল ভাঙচুর করে। এ সময় ময়মনসিংহ-কিশোরগঞ্জ মহাসড়কে প্রায় দুই ঘণ্টা যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে পুলিশ দুপক্ষকে সড়ক থেকে সরিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়।
নান্দাইল পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুল খালেক বলেন, পুলিশের ছোড়া টিয়ারগ্যাসের কারণে বিদ্যালয়ে থাকা ১০-১২ জন শিক্ষার্থী আহত হয়েছে। এদের মধ্যে ৭ জন নান্দাইল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে গুরুতর দুই ছাত্রীকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আমিনুল ইসলাম শাহান বলেন, ‘আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির কো-চেয়ারম্যান আনোয়ার বিন কবিরের প্রোগ্রামে দাওয়াত না দেওয়ার কারণ জানতে সংসদ সদস্য তুহিনের সঙ্গে কথা বলতে যাওয়া হয়। এসময় তারা আমাদের ওপর হামলা চালায়।’
এ বিষয়ে জানতে ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনের সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদিন খান তুহিনের মোবাইলে একাধিকবার ফোন করা হলেও পাওয়া যায়নি।
আপনার মতামত জানান