আনন্দ বাজার সড়কে ড্রেজারের পাইপ ভোগান্তি

প্রকাশিত

ডেইলি সোনারগাঁ >>
নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার আনন্দ বাজার-বারদী-হামছাদী সড়কে স্থানীয় সাবেক মেম্বার আবুল হোসেনের নেতৃত্বে একটি মহল তাদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য দীর্ঘদিন যাবত্ বালু ব্যবসার নামে ড্রেজার পাইপ বসিয়ে বিভিন্ন ভূমি ভরাট করছে। এতে করে রাস্তার মাটি সরে গিয়ে ফাটল সৃষ্টি হয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে এবং যেকোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। শুধু তাই নয়, রাস্তা ভেঙে যানবাহন চলাচল ও জনসাধারণের চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হওয়ারও উপক্রম হয়েছে।

জানা যায়, আনন্দ বাজার থেকে হামছাদী সড়কের ওপর দিয়ে অনুমোদন ছাড়াই বসানো হয়েছে অবৈধ ড্রেজারের পাইপ। ওই পাইপ ব্যবহার করেই তিন বছর যাবত্ মেঘনা নদী থেকে বালু তুলে হামছাদী ও সনমান্দী এলাকা ভরাট করা হচ্ছে। ড্রেজারের পাইপ থেকে পানি পড়ে সড়ক ভেঙে যাওয়ার কারণে ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। এ রাস্তা দিয়ে বারদী লোকনাথ ব্রহ্মচারীর আশ্রম ও আনন্দ বাজার হাটে, নুনের টেক এবং আড়াই হাজার উপজেলার হাজার হাজার দর্শনার্থী, পর্যটক ও সাধারণ মানুষ চলাচল করে।

ভুক্তভোগী এলাকাবাসী জানান, আনন্দ বাজার এলাকায় মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে এই পাইপ দিয়ে ভরাট করা হচ্ছে আনন্দ বাজার, খংসারদী, হামছাদী ও সনমান্দী ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামে। মাত্র গুটিকয়েক লোক ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার জন্য জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে সড়কটির এত বড় ক্ষতি করলেও এখন পর্যন্ত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

হাজি মতিউর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধি মোহাম্মদ আলী বলেন, সাবেক মেম্বার আবুল হোসেন প্রশাসনসহ বিভিন্ন মহলকে ম্যানেজ করে দীর্ঘ তিন বছর ধরে মেঘনা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে এই পাইপ দিয়ে বিক্রি করছেন। ড্রেজার মালিক আবুল হোসেন মেম্বার বলেন, ‘আমি অন্য জায়গা থেকে বালু কিনে পাইপের মাধ্যমে ভরাটের ব্যবসা করছি। মেঘনা নদীর বালু উত্তোলনের সঙ্গে আমি জড়িত নই।’ রাস্তায় কেন পাইপ বসিয়েছেন—এ প্রশ্নের তিনি কোনো জবাব দেননি।

এ ব্যাপারে সোনারগাঁ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রকিবুর রহমান খান বলেন, ‘সরেজমিনে তদন্ত করে শিগিগরই জনস্বার্থবিরোধী কর্মকাণ্ডে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।’

আপনার মতামত জানান