বাসভবনে ঢুকে ইউএনওকে হাতুড়ি পেটা

প্রকাশিত



দিনাজপুরে ঘোড়াঘাট উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও তার বাবার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। গুরুতর অবস্থায় তাদের প্রথমে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে তাকে রংপুর কমিউনিটি হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। বর্তমানে ইউএনওকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে। তার বাবাকে ঘোড়াঘাট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে ৩টার দিকে সরকারি বাসভবনে ঢুকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে দুস্কৃতকারী।

ওই নির্বাহী কর্মকতার নাম ওয়াহিদা খানম। আর তার বাবার নাম ওমর আলী। নওগাঁ থেকে মাঝে মাঝে মেয়ের বাড়িতে বেড়াতে আসেন বীর মুক্তিযোদ্ধা বাবা। ওয়াহিদা খানমের স্বামী মেজবাহুল হোসেন রংপুরের পীরগঞ্জে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে কর্মরত।

দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম জানান, আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে এক যুবক প্রবেশ করে। প্রথমে ওই যুবক তার বাবাকে আহত করে পাশের ঘরে বাথরুমে আটকে রাখে। পরে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়িভাবে তাকেও হাতুড়ি পেটা করে পালিয়ে যায়।

মূলত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানমকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এ হামলা চালানো হয়েছে বলে ধারণা জেলা প্রশাসকের।

গুরুতরও আহত নির্বাহী কর্মকতা ওয়াহিদা খানমকে রংপুরে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। ঘটনার পর জেলা প্রশাসকসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকতারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।

এ ব্যাপারে ঘোড়াঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকতা-ওসি আমিরুল ইসলাম জানিয়েছেন, ধারনা করা হচ্ছে রাত আনুমানিক ৩টার দিকে নির্বাহী কর্মকতার সরকারি বাসভবনের ২য় তলায় বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে। ঘটনাস্থলের নিচে একটি মই পাওয়া গেছে।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, প্রথমে নির্বাহী কর্মকতার বাবাকে আহত করে বাথরুমে আটকিয়ে রাখে। এরপর নির্বাহী কর্মকর্তা ওয়াহিদা খানকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। বাসভবনের নাইট গার্ডকে তালা দিয়ে আটকিয়ে রাখে। কাজের মেয়েও নিচে ছিল।
দুস্কৃতকারী ১/২ জন থাকতে পারে বলে বলে পুলিশের ধারনা। এটি কোনো ডাকাতি ছিল না। সম্ভবত হত্যার উদ্দেশ্যই ছিল বলেও জানান তিনি।

আপনার মতামত জানান