ধান মাড়াই নিয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আবারও মারামারি

প্রকাশিত



দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস। আজ পর্যন্ত ১০১ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ২৯৪৮ জন। এসময় সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখাটা সবচেয়ে জরুরি। কিন্তু ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলায় প্রতিদিনই সামাজিক দূরত্ব লংঘনের ঘটনা ঘটছে। প্রতিদিনই জেলাটির কোনো না কোনো এলাকায় মারামারিতে জড়িয়ে পড়ছেন অধিবাসীরা। এবার নাসিরনগরে ধান মাড়াই করা নিয়ে সংঘর্ষে পাঁচ পুলিশ সদস্যসহ উভয়পক্ষের ৬৫জন আহত হয়েছেন।

গতকাল রবিবার রাতে উপজেলার গোকর্ণ ইউনিয়নে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, গতকাল সন্ধ্যায় ডিঘর ও সূচীউড়ার তিতাস নদীর পাড়ে জনৈক ফারুক মিয়া ধান মাড়াই করছিলেন। সে সময় কামাল মিয়া নামে এক ব্যক্তি ধান মাড়াইয়ের জায়গার ওপর একটি ছোট ট্রাক উঠিয়ে দেন। এ নিয়ে দুজনের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। পরে বিষয়টি দুপক্ষের লোকজন জানতে পেরে এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি হয়।

একপর্যায়ে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে জড়ো হতে থাকে দুই পক্ষের লোকজন। শুরু হয়ে যায় সংঘর্ষ। শয়ে শয়ে মানুষ এই তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে মারামারিতে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। কামালের পক্ষের লোকজন পুলিশের উপর চড়াও হয়। এসময় উন্মত্ত জনতার আক্রমণে ৫ পুলিশ সদস্যসহ উভয় পক্ষের ৬৫ জন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশ ৯ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। ব্যাপক চেষ্টার পর পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়।

এই ঘটনার পর ওই এলাকায় বিপুল সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। গোকর্ণ ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ‘তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংর্ঘষ হয়। উভয়পক্ষের আহতদের হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে। পুলিশের উপস্থিতিতে উভয়পক্ষের লোকজনকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। তবে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে।’ এলাকার সচেতন ব্যক্তিরা প্রতিদিনের এই মারামারির ঘটনায় শংকা প্রকাশ করেছেন।

আপনার মতামত জানান