ত্রাণদাতারা মানছেন না সামাজিক দূরত্ব
ত্রাণ নিতে আসা গ্রহীতারা সামাজিক দূরত্ব মানলেও মানছেন না ত্রাণ বিতরণকারী নেতারা। তারা গ্রহীতাদের জন্য তিনফুট দূরত্বে বৃত্ত একে দিলেও নিজেরো বিতরণ করছেন শরীর ঘেষাঘেষি করে। নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয়ের রাজনৈতিক, সামাজিক ও স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর ত্রাণ বিতরণে এমনই চিত্র বার বার উঠে আসছে। গ্রহীতাদের বৃত্তে আটকিয়ে রাখলেও তাদের আটকাতে পারছে না কোন নিয়ম। তারাই আবার গ্রহীতাদের সচেতন করতে বলছে, করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে ‘সামাজিক দূরত্ব’ বজায় রাখার নির্দেশনা দিয়েছে দেশের স্বাস্থ্য বিভাগ। এটা মেনে নিজের ও পরিবারের স্বাস্থ্য সুরক্ষা করুন।
আজ সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দেখা যায়, ত্রাণ নিতে আসা অসহায় মানুষগুলেঅ নির্দিষ্ট দূরত্বে দাঁড়িয়ে ত্রাণের জন্য অপেক্ষা করছে। অন্যদিকে দাতারা একে অপরের শরীর ঘেষে ত্রাণ তুলে দিচ্ছে উপকার ভোগীদের হাতে। বৈদ্যের বাজারের কয়েকটি স্পটে গিয়ে দেখা যায়, সাবেক সাংসদ আব্দুল্লাহ আল কায়সারের নেতৃত্বে আল আমিন সরকার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি, সাংগঠনিক, সম্পাদক সহ ১৫-২০জন নেতা সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ত্রাণ বিতরণ করছেন।
অন্যদিকে উপজেলা আওয়ামী লীগের আহবায়ক কমিটি নেতারা ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিরুর নেতৃত্বে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নেরর পাকুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ত্রাণ বিতরণ করছেন। বিদ্যালয় মাঠে তিনফুট দূরত্বে আঁকা বৃত্তে গ্রহীতা দাঁড়িয়ে নিয়মমাফিক একজন একজন গিয়ে ত্রাণ নিয়ে খুশি মনে বাড়ি চলে যাচ্ছেন। ত্রাণ দাতাদের ছিলো ভিন্ন চিত্রে, বঙ্গবন্ধু মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন স্বনামধন্য চিকিৎসক ডা. আবু জাফর চৌধুরী বিররু নেতৃত্বে সামাজিক দূরত্ব না মেনেই ত্রাণ দিতে বিতরণ করছেন। এ সময় ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবকলীগ ও আওয়ামীলীগের শতাধিক নেতা কর্মীকে শরীর ঘেঁষে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।
নামপ্রকাশ না করার শর্তে ত্রাণ নিতে আসা একজন বলেন, ডাক্তারদের মধ্যেও কোন সচেতনতা নেই। নিয়ম শুধু গরীবের জন্য, বড় লোকের কোন নিয়ম নাই। আমাদের জন্য বৃত্ত তৈরি করে তারা দাঁড়িয়ে আছে গাদাগাদি করে।
এ ব্যাপারে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. পলাশ কুমার সাহা বলেন, সবাইকে সামাজিক দূরত্ব মেনে চলতে হবে। নিজের ও পরিবারের কথা ভেবে হলেও সবাইকে সচেতন হতে হবে। দেশকে করোনাভাইরাসমুক্ত রাখতে আমাদের সকলকে সরকারি নির্দেশনা মেনে চলা উচিত। করোনা একজন মানুষ থেকে অন্য মানুষে সর্বনিম্ন ৩ ফুট ও সর্বোচ্চ ৬ ফুট পর্যন্ত দূরত্বে ছড়াতে পারে। তাই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি।
সুত্র: কালের কন্ঠ
আপনার মতামত জানান