কোরআন শরীফ অক্ষত মাদ্রাসা পুড়ে ছাই

প্রকাশিত

 

চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মদিনাতুল মুনাওয়ারা হাফিজিয়া নামের একটি মাদ্রাসার সবকটি কক্ষ আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। অক্ষত রয়েছে মাদ্রাসার কক্ষে থাকা ২০টি কোরআন শরীফ। মাদ্রাসাটি দুর্বৃত্তরা পুড়িয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত একটায় উপজেলার দক্ষিণ বাইশপুর গ্রামে মতলব সেতু-সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে মাদ্রাসাটির পঞ্চাশ লাখ টাকার মালামাল ক্ষতি হয় বলে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষের দাবি।

মাদ্রাসার কার্যালয় ও স্থানীয় বাসিন্দা সূত্রে জানা গেছে, ২০১৭ সালে দক্ষিণ বাইশপুর গ্রামে এলাকাবাসীর উদ্যোগে তিনটি বড় কক্ষ নিয়ে আধাপাকা ওই হাফিজিয়া মাদ্রসা স্থাপিত হয়। ৫০ জন শিক্ষার্থী মাদ্রাসার তিনটি কক্ষে থেকে লেখাপড়া করছে। গত রোববার থেকে মাদ্রাসাটি বন্ধ রাখা হয় এবং ছুটি পেয়ে সেখানকার শিক্ষার্থী ও শিক্ষকেরা বাড়ি চলে যান। মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটায় কতিপয় দুর্বৃত্ত আধাপাকা মাদ্রাসাটির তিনটি কক্ষের দরজা, জানালা ও টিনের ছাউনিতে আগুন লাগিয়ে দেয়। আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে এবং অল্প সময়ের মধ্যে মাদ্রাসাটির সবকটি জানাল-দরজা, টিনের ছাউনি এবং কক্ষের ভেতরে রাখা শিক্ষার্থীদের বই, খাতা, পোশাক, আসবাবপত্র, দুটি ফ্রিজ, লেপ ও তোষকসহ অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়। এ ছাড়া মাদ্রাসাটির ছাত্রাবাস নির্মাণ করার জন্য সেখানকার একটি কক্ষে রাখা কাঠ ও মূল্যবান আসবাবপত্রও পুড়ে যায়। তবে সেখানে রাখা ২০টি কোরআন শরিফ সম্পূর্ণভাবে অক্ষত থাকে।

মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা হাফেজ মাওলানা মুফতি রোকনুজ্জামান মাদানী বলেন, ওই রাত আনুমানিক দেড়টায় শাহাদাত হোসেন মোল্লা মুঠোফোনে অগ্নিকান্ডের বিষয়টি জানান। এছাড়া তিনি স্থানীয় ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এবং পুলিশকে খবরটি দেন। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা ওই আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন। আগুন নেভানোর কাজে নেতৃত্ব দেন উপজেলা ফায়ার সার্ভিস বিভাগের স্টেশন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান। আগুন নেভানোর পরে দেখা যায় মাদ্রাসার কক্ষে রাখা ২০টি পবিত্র কোরআন শরীফ অক্ষত রয়েছে। কোরঅঅনের উপর আল্লাহ’র রহমত দেকে সবাই শুকরিয়া আদায় করেছেন। আল্লাহ্ পাক সকলকে বুঝিয়ে দিয়েছেন, কোরআনের হেফাজতকারী স্বয়ং আল্লাহ্।

আপনার মতামত জানান