সোনারগাঁয়ে বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা
ডেইলি সোনারগাঁ >>
‘এন্টিবায়োটিকের সফলতার, আপনি-আমি অংশীদার’ এ শ্লোগানকে সামনে রেখে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স মিলনায়তনে ‘বিশ্ব এন্টিবায়োটিক সচেতনতা সপ্তাহ’ পালন উপলক্ষে এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সকালে এ উপলক্ষে আলোচনা ও র্যালি বরে করা হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. হালিমা সুলতানা হকের সভাপতিত্বে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ ইউনুফ হাবিব, কৃষি কর্মকর্তা মনিরা আক্তির, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার সাইফুল ইসলাম প্রধান, প্রাথমিক নিখিল চন্দ্র বিশ্বাস, উপজেলা জনস্বাস্থ্যের উপ-প্রকৌশলী নাজমুল হোসাইন, স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসক ডা. সজিব রায়হান, ডা. জয়নাল আবেদিন, মৎস সহকারি কর্মকর্তা ফাতেমা হক প্রমূখ।
ডা. সজিব রায়হান জানান, অতিরিক্ত অপর্যাপ্ত এবং অযৌক্তিক এন্টিবায়োটিক ব্যবহারের ফলে এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধী জিবাণুর উদ্ভব হচ্ছে। এটার একমাত্র কারণ অজ্ঞতা। এন্টি অর্থ বিপরীত ও বায়োস অর্থ প্রাণ। অর্থাৎ এটি জীবিত মাইক্রোঅর্গানিজমের বিরুদ্ধে কাজ করে।
যেসব রোগ সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণে হয়, তা নিয়ন্ত্রণ ও নিরাময়ের জন্য এন্টিবায়োটিক ব্যবহার করা হয়। ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণের কারণে যেসব রোগ হয়, সেগুলো নিরাময়ের জন্য এটি ব্যবহার করা হয়। এজন্য ভাইরাসজনিত রোগের বিপরীতে এন্টিবায়োটিক কার্যকরী নয়। এক জীবাণুর বিরুদ্ধে যেমন সব এন্টিবায়োটিক কাজ করে না, তেমনি সব জীবানুর বিরুদ্ধে একই এন্টিবায়োটিক কাজ করে না। এন্টিবায়োটিক দেহে প্রবেশ করলে বিভিন্ন জীবাণু এটির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলে। জীবাণুগুলো সাময়িকভাবে কাজ করা বন্ধ করে দেয়। এর ফলে আমাদের দেহ সুস্থ হতে শুরু করে।
ডা. জয়নাল আবেদিন জানান, অজ্ঞতাবশত কিংবা রেজিষ্টার চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া এবং কোর্স সম্পূর্ণ না করলে শরীরে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হয়। যা এন্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয়।ফলে কোন এন্টিবায়োটিক আর কাজ করে না। এতে মৃত্যুঝুকি বেড়ে যায়।
ডা. হালিমা সুলতানা হক জানান, কারো জ্বর হলে কিংবা কেউ ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হলে, বেশির ভাগ ক্ষেত্রে রেজিষ্টার্ড চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়াইএজিথ্রোমাইসিন, সিপ্রোফ্লক্সাসিন বা মেট্রোনিডাজলের মত ড্রাগ অসচেতন ভাবে ব্যবহার করতে থাকি, অথবা কোর্স সম্পুর্ন করিনা। রোগ সৃষ্টিকারী এই জীবানুদের বিশাল ক্ষমতা আছে তাদের বিরুদ্ধে যে ড্রাগ ব্যবহার করা হয়, তা যদি সঠিক ভাবে ব্যবহার না করা যায় তবে তারা ঐ ড্রাগের কার্যকারিতা নষ্ট করে দেয় এবং ওর বিরুদ্ধে নিজেদের প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করে।ফলশ্রুতিতে ঐ ড্রাগে আর কাজ করেনা, যেটাকে বলে রেজিস্ট্যান্স তৈরি হওয়া। আর তাই এজিথ্রোমাইসিন এর মত কার্যকরী ড্রাগ ও এখন রেজিস্ট্যান্ট হয়ে যাচ্ছে, আর মৃত্যুর দিকে এগিয়ে যাচ্ছে কোটি কোটি প্রাণ।
এন্টিবায়োটিক সচেতনতা শেয়ার করুন
শেয়ার করুন
আপনার মতামত জানান