যুবলীগ নেতা গাজী মুজিবুর রহমান সোনারগাঁয়ের হারুনুর রশিদ
যুবলীগ নেতা বলতেই চোখের সামনে প্রায়ই ভেসে ওঠে টেন্ডারবাজি, অল্প কয়েক দিনে কোটি কোটি টাকার গাড়ি-বাড়ির মালিক। কিন্তু হারুনুর রশিদ সবার চেয়ে ভিন্ন, এতো বড় একটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করলেও ঢাকায় নেই একটি নিজের বাড়ি। আর ভাড়া বাসার কথা বললেই যেন অবাক হওয়ার মতো।রাজধানীর খিলগাঁও-বাসাবো এলাকায় মাত্র ১৪ হাজার টাকা ভাড়ার একটি ছোট্ট বাসায় থাকেন পরিবার-পরিজন নিয়ে।
বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদের সাদাসিদে জীবনযাপন অনেককেই মুগ্ধ করে। এই সাদাসিদে জীবনের নেতা চাইলে অনেক কিছুই হতে পারতেন, কিন্তু তার নির্মোহ রাজনৈতিক জীবন এক দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। অনেক সুযোগ ছিলো। হতে পারতেন প্রতিষ্ঠিত কোনো ব্যাংকের পরিচালক, কিংবা থাকতে পারতেন আরো বড় কিছুর নেতৃত্বে।
বাংলাদেশের ব্যাপ্তী ছাড়িয়ে ছোট্ট পরিসরে আলোচনা করলে আরেকটি নাম ভেসে ওঠে। গাজী মুজিবুর রহমান। তাকে অনেকেই সোনারগাঁয়ের হারুনুর রশীদ বলেই ডাকেন। সম্পদশালী পরিবারের সন্তান গাজী মুজিবুর রহমান রাজনীতি করতে গিয়ে উত্তারাধীকার সুত্রে পাওয়া সমস্ত সহায় সম্পদ ত্যাগ করে নিঃস্ব হলেও সততা ও বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে এক মূহুর্তের জন্যও ত্যাগ করেননি।
গাজী মুজিবুর রহমান ছাত্র রাজনীতিতেই সকলের নজর কারেন। অসহায়, নিপিড়িত, নির্যাতিত ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে থেকে নিঃস্বার্থ রাজনীতিবিদ হিসেবে পৌরসভা তথা সোনারগাঁ যুবলীগের প্রাণ ভোমরায় পরিনত হন।
গাজী মুজিবুর রহমান ১২ বছর সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সভাপতি থাকাকালীন কোন রকম অন্যায় ও অপকর্মের সাথে আপোষ করেননি। ৪ দলীয় সরকারের আমলে দ্রুত বিচার মামলাসহ বিভিন্ন সময়ে কারানির্যাতিত হয়েও কোনো রকম টেন্ডারবাজী, চাঁদাবাজী, সন্ত্রাসীদের প্রশ্রয় না দিয়ে সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগকে রেখেছেন কলংকমুক্ত।
বাংলাদেশের ইতিহাসে গাজী মুজিবুর রহমানই যুবলীগের একমাত্র তৃণমূল নেতা যিনি পদপদবী ও ক্ষমতার অপব্যবহার না করে, অতি সাধারন জীবন যাপন করেছেন এবং করছেন। যায়াতের জন্য এখন ও তিনি রিক্সার উপর নির্ভরশীল। ২০১১ সালে সোনারগাঁ পৌরসভার দলীয় মনোনয়ন ও জনগনের অকুন্ট ভালবাসা পেলেও দলীয় স্বার্থপর নেতাদের কুটকৌশলের কারনে মাত্র ৫৫৫ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। ২০১৫ সালে সোনারগাঁ আওয়ামীলীগ মনোনয়ণের জন্য কেন্দ্রে তার নামটি পর্যন্ত পাঠাননি। পরে অনেক চড়াই উৎরাই পেরিয়ে কেন্দ্রে নাম পাঠাতে সফল হলেও অদৃশ্য কারনে তিনি মনোণয়ন বঞ্চিত হণ। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েও তিনি নৌকার জয়ের লক্ষে অক্লান্ত পরিশ্রম করেছেন।
সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাদের দাবী নিলোর্ভ নেতা হারুনুর রশিদের নেতৃত্বে তৃণমুলে গাজী মুজিবুর রহমানের মতো ত্যাগী নেতারা থাকলে দলে কখনো কোন ধরনের অপকর্মের তকমা লাগবে না।কিন্তু সৎ ও ত্যাগী নেতারা আজ রাজনৈতিক দূবৃত্তদের অর্থ ও কুটকৌশলের কাছে বার বার অসহায়ের মতো পরাজিত হয়েও মানুষের মনে ঠিকই হারুনুর রশিদের মতো স্থান করে নিচ্ছেন।
যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশিদ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু যে স্বপ্ন নিয়ে দেশ স্বাধীনতার জন্য ঝাপিয়ে পড়েছিলেন, সেই স্বপ্ন ও রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্যই কাজ করে যাচ্ছি। জীবনের শেষ মুহুর্ত পর্যন্ত নেত্রীর দিকনির্দেশনা অনুযায়ি কাজ করে যাবো’।
সোনারগাঁ উপজেলা যুবলীগের সাবেক সভাপতি গাজী মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমি মহান নেতা,স্বাধীনতার স্থপতি, জাতির জনকের আর্দশে বিশ্বাস করি। দলের স্বার্থে যে কোনো ত্যাগ স্বীকার করে দলীয় সিদ্ধান্ত মেনে নিতে প্রস্তুত। আমি কোন পদ-পদবীর আশায় রাজনীতি করি না, বঙ্গবন্ধুর আদর্শের ও বিশ্বরত্ন ,মাদার অব হিউম্যানিটি শেখ হাসিনার নেতৃত্বে স্বপ্নের সোনার বাংলার রাজনীতি করি।
( বিঃ দ্রঃ- প্রতিটি উপজেলায় একজন ত্যাগী নেতার সন্ধান দিন, আমরা তাদের সততা ও আদর্শকে সবার কাছে তুলে ধরব)
ভালো লাগলে প্রতিবেদনটি শেয়ার করে সৎ ও নির্লোভ রাজনীতিকদের উৎসাহিত করুন…..
আপনার মতামত জানান