সোনারগাঁয়ে ছাত্রলীগ সভাপতির বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ
ডেইলি সোনারগাঁ >>
সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদের দাবিকৃত ৫লাখ টাকা চাঁদা না দেয়ায় মেহেদি হাসান (২৪) নামে এক বালু ববসায়ীর উপর হামলা চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় মহিলাসহ ৬জন আহত হয়েছেন।
গত সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের গোহাট্টা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ব্যবসায়ী মেহেদি হাসান বাদি হয়ে সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে।
অনুসন্ধানে জানা যায়, বিবাহিত ও অছাত্রদের দিয়ে খুড়িয়ে চলছে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগ। ছাত্রলীগের নাম ভাঙ্গিয়ে চাঁদাবাজি ও টেন্ডারবাজির অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এছাড়াও শুরুতেই তারা নিজ দলের বিরুদ্ধে গিয়ে জামাত বিএনপি ও জাতীয় পার্টির সাথে আতাত করে চলার অভিযোগ করেছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগ।
কমিটির অধিকাংশ সদস্য বিবাহিত ও কয়েক সন্তানের জনক। সংগঠনটির যে নিয়মনীতি রয়ছে তার মধ্যে অন্যতম হল নিয়মিত ছাত্র, অবিবাহিত এবং বয়সসীমা ২৯ এর বেশি হতে পারবে না। কিন্তু সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদসহ গুরুত্বপূর্ণ পদে থাকা প্রায় সকল পদধারী নেতারই বয়সের দিক থেকে আদু ভাই এবং বিবাহিত। খোঁজ খবর নিয়ে জানা যায় সোনারগাঁ উপজেলার সভাপতি পদে থাকা হাসান রাশেদ বয়স প্রায় ৪০ এরও উপরে।
ছাত্রলীগ সুত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের দায়িত্ব বুঝে নেওয়ার পর বর্তমান কমিটি তাদের ব্যানারে লিখে বাংলাদেশ আওয়ামী ছাত্রলীগ। এনিয়ে অনেকেই মুচকি হেসে বলেন অযোগ্যদের দায়িত্ব দিলে এমনই হয়।
জানা যায়, হাসান রাশেদ বিএনপি থেকে ছাত্রলীগে অনুপ্রবেশকারী নেতা। নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের প্রভাবশালী সাংসদ একেএম শামীম ওসমানের শ্যালক এহশানুল হাসান নিপুর খালাতো ভাই রাশেদ কৌশলে ২০১৫ সালে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতির পদটি বাগিয়ে নেয়। তার পিতা মিলন মিয়াসহ পরিবার ও বংশীয় সবাই বিএনপির রাজনীতিতে সক্রিয়।
জানা যায়, ২০১৫ সালে শুরুর দিকে হাসান রাশেদকে সভাপতি এবং রাসেল মাহমুদকে সাধারণ সম্পাদক করে ১বছরের জন্য কমিটি অনুমোদন দেয় তৎকালিন জেলা ছাত্রলীগ যা ২০১৭ সালের অক্টোবরে এসে ১ বছরের জন্য পূর্ণাঙ্গ কমিটির অনুমোদন দেওয়া হয়। তবে, এই মেয়াদ শেষ হলেও তারাই উপজেলার ছাত্রলীগ নেতা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ছাত্রলীগ নেতা জানান, সোনারগাঁয়ে সবচে কঠিন কাজ হলো ছাত্রলীগের বর্তমান কমিটি থেকে একজন ছাত্র খুজে বের করা। একই দৃশ্য প্রতিটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগেও।
এদিকে সোনারগাঁ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি হাসান রাশেদের কাছে এ সম্পর্কে জানতে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি সেটি রিসিভ করেননি।
আপনার মতামত জানান