সহজ পাঠ ৮ম শ্রেনির বাংলা দ্বিতীয় পত্র
[অষ্টম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্মিতি বইয়ের চতুর্থ অধ্যায়ের প্রথম পরিচ্ছেদে ‘লিঙ্গান্তর’ সম্পর্কে আলোচনা আছে]
লিঙ্গান্তর
পুংলিঙ্গ বা পুরুষবাচক শব্দকে স্ত্রীলিঙ্গ বা স্ত্রীবাচক শব্দে রূপান্তরকরাকে লিঙ্গান্তর বা লিঙ্গ পরিবর্তন বলে। যেমন- ছাত্র > ছাত্রী, ব্যাটাছেলে > মেয়েছেলে।
লিঙ্গান্তরের সাধারণ নিয়ম
♦ পুরুষবাচক শব্দের শেষে- আ(া), ঈ(ী), নী, আনি, ইনি ইত্যাদি থাকলে স্ত্রীপ্রত্যয় জুড়ে পুংলিঙ্গ শব্দকে স্ত্রীলিঙ্গে রূপান্তর করা যায়। যেমন- প্রথম > প্রথমা, চাকর > চাকরানি।
♦ কখনো কখনো ভিন্ন শব্দযোগেও পুংলিঙ্গ শব্দ স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দে পরিবর্তন হয়। যেমন—বাবা > মা, ছেলে > মেয়ে।
♦ শব্দের আগে পুরুষবাচক বা স্ত্রীবাচক শব্দ জুড়ে দিয়েও শব্দের লিঙ্গান্তর হয়ে থাকে। যেমন- পুরুষ-মানুষ > মেয়ে-মানুষ, হুলো বিড়াল > মেনি বিড়াল।
♦ কতকগুলো পুরুষবাচক শব্দের আগে মহিলা, নারী ইত্যাদি স্ত্রীবাচক শব্দ প্রয়োগ করে শব্দের লিঙ্গান্তর হয়। যেমন- কবি > মহিলা কবি, সৈন্য > নারী সৈন্য।
♦ কোনো কোনো শব্দের শেষে পুরুষ ও স্ত্রীবাচক শব্দ যোগ করে পুংলিঙ্গবাচক শব্দ স্ত্রীলিঙ্গবাচক শব্দে পরিবর্তন হয়। যেমন- বোন পো > বোন ঝি, গয়লা > গয়লা বউ।
♦ কতকগুলো শব্দে কেবল পুরুষ বোঝায়। যেমন- কবিরাজ, কৃতদার, অকৃতদার, বিপত্নীক।
♦ কতকগুলো শব্দে শুধু স্ত্রীবাচক হয়। যেমন— সতীন, সৎমা, সধবা, এয়ো, দাই।
আপনার মতামত জানান