ইসির মূল চ্যালেঞ্জ সীমানা পুনর্নির্ধারণ

প্রকাশিত



এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) জন্য মূল চ্যালেঞ্জ হতে পারে সংসদীয় আসনগুলোর সীমানা পুনর্নির্ধারণ। নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে আসনগুলোর বর্তমান সীমানা ত্রুটিপূর্ণ জানিয়ে বলা হয়েছে, ২০০৮ সালে প্রশাসনিক অখণ্ডতা বিবেচনায় আসনগুলোর সীমানা ব্যাপকভাবে পরিবর্তনের কারণে নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যায় অসমতা সৃষ্টি হয়। সে সময় এর বিরুদ্ধে তিন হাজার ৬৯০টি লিখিত আপত্তি উত্থাপিত হয়। ২০১৪ থেকে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত শেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মোট ১৯৮টি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হলে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং সংক্ষুব্ধ অনেকে আদালতের শরণাপন্ন হয়।


২০১৩ সালের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বেশ কয়েকটি আসনে মন্ত্রী এবং এমপিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করার অভিযোগ ওঠে।
সীমানা পুনর্নির্ধারণই ইসির মূল চ্যালেঞ্জএ ছাড়া সংস্কার প্রস্তাব অনুসারে আসনসংখ্যা বাড়িয়ে ৪০০ করে ১০০ আসনে নারীদের জন্য সরাসরি ভোটের ব্যবস্থা করতে হলে নির্বাচনী এলাকার ব্যাপক পরিবর্তন আসবে। তবে এটি এ নির্বাচনে হওয়ার সম্ভাবনা কম বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।

নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান ড. বদিউল আলম মজুমদার বলেন, ‘সীমানা নির্ধারণের বিষয়টি অভিযোগমুক্ত এবং ভোটার সংখ্যার অসমতা কমাতে হলে যথেষ্ট সময় নিয়ে দক্ষ ও অভিজ্ঞ লোকদের মাধ্যমে রাজনৈতিক প্রভাবমুক্ত থেকে এ কাজ সম্পন্ন করতে হবে।


আমি মনে করি, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের জন্য এটিই বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ।’
নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের একজন কর্মকর্তা বলেন, আগের নির্বাচনগুলোর অভিজ্ঞতা থেকে বলা যায়, সংসদ নির্বাচনে নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় বাধা ছিল, দলীয় সরকারের প্রভাব এবং পক্ষপাতদুষ্ট প্রশাসন ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনী। কিন্তু এবার নির্দলীয় সরকারের সময় নির্বাচন হতে যাওয়ায় এ অবস্থায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য তথ্য সংগ্রহের পর আপাতত সঠিকভাবে সীমানা পুনর্নির্ধারণই এ নির্বাচন কমিশনের জন্য বড় চালেঞ্জ।

সময় দ্রুত ফুরিয়ে আসছে : নির্বাচনের আগে নির্বাচনী এলাকাগুলোর সীমানা পুননির্ধারণের জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে সময়ও আর বেশি নেই।

আগামী ডিসেম্বরে ভোট গ্রহণ হলে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত সীমানা নির্ধারণের কাজ শুরু করতে হবে। সীমানা পুনর্নির্ধারণ ছাড়াও নির্বাচন কমিশনকে নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার আগে নতুন রাজনৈতিক দল নিবন্ধন এবং বিদ্যমান নিবন্ধিত দলের বর্তমান অবস্থা পরীক্ষা করে দেখা, পর্যবেক্ষক নীতিমালা প্রণয়ন, ভোটকেন্দ্র স্থাপন, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ, নির্বাচনী মালপত্র ক্রয়—এসব করতে হবে।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে তৎকালীন নির্বাচন কমিশন আইনগত প্রক্রিয়া অনুসরণ করে সীমানা পুনর্নির্ধারণের জন্য ছয় মাস এবং নতুন দল নিবন্ধনের জন্য আট মাস সময় নিয়েছিল। কিন্তু বর্তমান নির্বাচন কমিশন নির্বাচনী আইন সংস্কারের অপেক্ষায় এখনো এসব কাজ শুরু করতে পারেনি। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আইন সংশোধনের অপেক্ষায় আমাদের অনেক কাজ শুরু হয়নি।

সংস্কার কমিশন চায় না ইসি সীমানা নির্ধারণ করুক : নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণের দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের বদলে সংবিধান সংশোধন করে আলাদা একটি সীমানা নির্ধারণ কমিশন গঠন করে সেই কমিশনকে অথবা সংসদ নির্বাচনের আগে সংবিধান সংশোধন বা সংস্কার না হলে নির্বাচন কমিশনের সহায়তায় একটি বিশেষায়িত কমিটি গঠন করে সেই কমিটিকে দেওয়ার সুপারিশ করেছে। সংস্কার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ একটি জটিল ও সময়ক্ষেপণকারী বিষয়, যেখানে বিশেষায়িত জ্ঞান ও দক্ষতা প্রয়োজন। নির্বাচন কমিশনের এ কাজের জন্য প্রয়োজনীয় দক্ষতা আছে কি না তা নিয়ে সন্দেহের যথেষ্ট অবকাশ রয়েছে। আর আগত নির্বাচনের প্রস্তুতির জন্য নির্বাচন কমিশনকে অনেক সময় ও শ্রম দিতে হবে। তাই আমাদের আকাঙ্ক্ষা, সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণের মতো কঠিন ও কষ্টসাধ্য কাজে সময় ব্যয় করার পরিবর্তে নির্বাচন কমিশন আসন্ন নির্বাচনের প্রস্তুতিতে সর্বশক্তি নিয়োগ করুক।

সংস্কার কমিশন বলেছে, ‘আমাদের প্রস্তাবের একটি বড় যৌক্তিকতা হলো—নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কের ঊর্ধ্বে রাখা। কারণ আবারও যদি সংসদীয় এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে বড় ধরনের বিতর্ক হয়, যা নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করবে, তাহলে জাতি হিসেবে আমরা একটি বড় অনিশ্চয়তার দিকে ধাবিত হতে পারি, পুরো জাতিকে যার মাসুল দিতে হবে।

কিন্তু নির্বাচন কমিশনাররা এ প্রস্তাবের বিরুদ্ধে। তাঁরা বিদ্যমান আইন অনুসারে এ দায়িত্ব নিজেদের কাছেই রাখতে চান। এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার ব্রি. জে. (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, সীমানা পুনর্নির্ধারণের বিষয়ে নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশন যে সুপারিশ করেছে তার সঙ্গে নির্বাচন কমিশন একমত নয়। নির্বাচন কমিশনই এ দায়িত্ব পালন করতে সক্ষম।

২০০৮-২০২৩ সালের সীমানা নির্ধারণে বিতর্ক

সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০০১ সালের নির্বাচনের পূর্ব পর্যন্ত বাংলাদেশে সীমানা নির্ধারণ নিয়ে বিশেষ কোনো প্রশ্ন ওঠেনি। বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে ব্যাপকভিত্তিক সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজ করা হয় ২০০৮ সালে। এ সময় জাতিসংঘের সহায়তায় একজন আন্তর্জাতিক সীমানা নির্ধারণ বিশেষজ্ঞকে নিয়োগ দিয়ে একটি গবেষণা করা হয়। যদিও ওই গবেষণার সব পরামর্শ গ্রহণ করা হয়নি। ২০০৮ সালে মূলত প্রশাসনিক অখণ্ডতা বিবেচনায় প্রাথমিকভাবে ১৩৩টি আসনে পরিবর্তন প্রস্তাব আনা হয়। এ প্রস্তাবের বিপক্ষে ৩২টি জেলার ৯৫টি আসনে তিন হাজার ৬৯০টি লিখিত আপত্তি উত্থাপিত হয়। শুধু সাতক্ষীরা-৩ আসনেই ৯৮০টি আপত্তি জমা পড়ে। শুনানির পর ৮৪টি আসনের সীমানা পরিবর্তন করে ৩০০ আসনের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ করা হয়, যাতে বিভিন্ন নির্বাচনী এলাকার ভোটার সংখ্যায় অসমতা পরিলক্ষিত হয়।’

পরের তিনবারের সীমানা পুনর্নির্ধারণ সম্পর্কে ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০১৪ থেকে ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত শেষ তিনটি জাতীয় নির্বাচনে মোট ১৯৮টি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হলে নানা রাজনৈতিক বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং অনেকে আইনি ব্যবস্থা নেন। ২০১৩ সালের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বেশ কয়েকটি আসনে মন্ত্রী এবং এমপিদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে তাঁদের পছন্দ অনুযায়ী সীমানা নির্ধারণ করার অভিযোগ ওঠে। ২০১৮ সালের নির্বাচনে মূলত ২০১৩ সালের সীমানা অপরিবর্তিত রাখা হয়। ২০২৪ সালের নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ২০২৩ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন কমিশনের ৩৮টি আসনের সীমানা পরিবর্তনের খসড়া প্রস্তাবের বিরুদ্ধে ১৮৬টি আপত্তি জমা পড়ে। এই খসড়ায় সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী ৭৫টি আসনে জনসংখ্যার বড় ব্যবধান থাকলেও তা পরিবর্তনের জন্য বিবেচনায় নেওয়া হয়নি। সর্বোচ্চ জনসংখ্যার আসনের সঙ্গে সর্বনিম্ন জনসংখ্যার আসনের মধ্যে সাত গুণের বেশি ব্যবধান হলেও (৮৮ শতাংশ) তা আমলে নেওয়া হয়নি। অন্যান্য বছরের মতো ওই বছরও শহরের আসনগুলোতে জনসংখ্যা বৃদ্ধি পায় এবং গ্রামের আসনগুলোতে জনসংখ্যা কমে যায়। সীমানা পুনর্নির্ধারণে জনশুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনকে গুরুত্ব দেওয়া এবং বিবেচনা করা হয়নি। এ ছাড়া আঞ্চলিক অখণ্ডতার কথা বলা হলেও বিদ্যমান সীমানার ৩৫টি আসনে আঞ্চলিক অখণ্ডতাসংক্রান্ত অসামঞ্জস্যতা থাকলেও তা নিরসনে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। পূর্বের মতো এসব আসনে এক বা একাধিক ইউনিয়নকে অন্য উপজেলার সঙ্গে যুক্ত রেখেই সংসদীয় আসন ঘোষণা করা হয়। সার্বিকভাবে সীমানা পুনর্নির্ধারণের অন্যতম লক্ষ্য নির্বাচনী এলাকাগুলোর মধ্যে ভোটার সংখ্যায় সমতা আনার বিষয়টিকে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি। শেষ পর্যন্ত বিভিন্ন আসনের মধ্যে জনসংখ্যার বৃহৎ পার্থক্য রেখে সীমানা প্রশাসনিক ও ভৌগোলিক অখণ্ডতার দোহাই দিয়ে মাত্র ১০টি আসনের সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়। এ আসনগুলো হলো—পিরোজপুর ১ ও ২, গাজীপুর ২ ও ৫, ফরিদপুর ২ ও ৪, কুমিল্লা ১ ও ২ এবং নোয়াখালী ১ ও ২ আসন।’

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘২০০৮ সালে ৮৪টি আসন পুনর্বিন্যাস করার কথা বলা হলেও বাস্তবে আসনবিন্যাস হয়েছিল ১৩০টির। ২০০৮ সালে করা আসনবিন্যাস সমুন্নত রাখতে বিগত নুরুল হুদা কমিশনের বিরুদ্ধে সংসদীয় এলাকার সীমানা নির্ধারণ আইনের ৮(৩) ধারায় পরিবর্তনের অভিযোগ রয়েছে। সংসদীয় এলাকার অতীতের সীমানা পুনর্নির্ধারণ নিয়ে বেশ কিছু গুরুতর অনিয়মেরও অভিযোগ রয়েছে। উদাহরণস্বরূপ ৩১ জানুয়ারি ২০১৩ তারিখে নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্নির্ধারণের খসড়া তালিকা প্রকাশের পর খোদ সরকারি দলের একাধিক সংসদ সদস্য বিগত রকিবউদ্দীন কমিশনের বিরুদ্ধে গুরুতর পক্ষপাতদুষ্টতার অভিযোগ আনেন। অভিযোগ করা হয় যে একজন প্রতিমন্ত্রীর মৌখিক অনুরোধে তাঁর নির্বাচনী এলাকার সীমানা পুনর্বিন্যাস করা হয়। এ পুনর্বিন্যাস করতে গিয়ে ঢাকার অন্য ১৫টি আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করতে হয়েছে এবং ঢাকার আটজন সংসদ সদস্য এর বিরুদ্ধে কমিশনে আপত্তি জানিয়েছেন। প্রস্তাবিত সীমানা পুনর্বিন্যাস সম্পর্কে ঢাকা-৭ আসনের আওয়ামী লীগের তৎকালীন সংসদ সদস্য মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন অভিযোগ করেন, ‘নির্বাচন কমিশন আমাদের সরকারের প্রভাবশালী একজন প্রতিমন্ত্রীর স্বার্থ রক্ষা করে ঢাকার আসনের সীমানা বিন্যাসের প্রস্তাব করেছেন। একজনের স্বার্থ রক্ষা করতে গিয়ে ১৫ জনের স্বার্থহানি করাটা অন্যায়। সরকারদলীয় আরেকজন সংসদ সদস্য জাকির হোসেন সে সময় এক নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে ব্যক্তিস্বার্থে ও ষড়যন্ত্রমূলকভাবে কুড়িগ্রাম জেলার নির্বাচনী আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণের কাজে পক্ষপাতদুষ্ট হস্তক্ষেপ করার অভিযোগ উত্থাপন করেন। কমিশনের শুনানিকালে তিনি দাবি করেন, ‘কমিশন সচিবালয়ের নিচতলায় বসে কুড়িগ্রামের আসন তছনছ করার ষড়যন্ত্র হচ্ছে। একজন নির্বাচন কমিশনের ছেলে ও জামাতা কুড়িগ্রাম থেকে নির্বাচন করতে চাইছেন। তাঁদের জন্য পছন্দসই সীমানা সাজাতে কুড়িগ্রামের আসনগুলোতে হাত দিয়েছেন এই নির্বাচন কমিশনার।’ প্রায় একই অভিযোগ করেন ওই আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাপা নেতা গোলাম হাবিব ও চলচ্চিত্র পরিচালক বাদল খন্দকার। সীমানা নির্ধারণ প্রায়োগিক কাজ হওয়ায় এবং আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত অনুসরণীয় নীতিমালা আইন এবং কার্যক্ষেত্রে এর অনুসরণ না থাকায় নির্বাচন কমিশন প্রায় প্রতিটি নির্বাচনের আগে এমন বিতর্কের মুখে পড়েছে।

যেভাবে সীমানা নির্ধারণের সুপারিশ : নির্বাচনব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের সুপারিশ হচ্ছে—সীমানা পুনর্নির্ধারণে পল্লী এলাকার ক্ষেত্রে ইউনিয়ন এবং সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ক্ষেত্রে ওয়ার্ড কোনোভাবেই বিভক্ত না করা; পার্বত্য এলাকার তিন জেলাকে তিনটি সুরক্ষিত সংসদীয় আসন হিসেবে বিবেচনা করা। অন্যান্য জেলায় যেখানে ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর বসবাস আছে, সেগুলোতে ওই জাতিগোষ্ঠীকে বিভক্ত না করা; মেহেরপুর, পিরোজপুরসহ ছোট জেলাগুলোর জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে একটি আলাদা জনসংখ্যা কোটা বিবেচনা করে +/-১০ শতাংশের বেশি বিচ্যুতি না করে ওই সব জেলার সীমানা নির্ধারণ করা। বৃহত্তর জেলার জনসংখ্যা বিবেচনায় নিয়ে একটি আলাদা জনসংখ্যা কোটা বিবেচনা করে +/-১০ শতাংশের বেশি বিচ্যুতি না করে ওই সব জেলার সীমানা নির্ধারণ করা এবং ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ক্ষেত্রে এই বিচ্যুতি ২৫ শতাংশের বেশি না করা।

আপনার মতামত জানান