ফেনীতে ‘স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস’
০৫ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবার, নদীর বাঁধ কেটে দিয়ে ফেনীসহ দেশের নয়টি জেলাকে বন্যায় ডুবিয়ে দেয়া ভারতীয় পানি সন্ত্রাসের প্রতিবাদ এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার দাবিতে আগামীকাল শুক্রবার স্ট্রাইক ফর ওয়াটার জাস্টিস কর্মসূচি পালিত হবে। ফেনী শহিদ মিনার প্রাঙ্গনে শুক্রবার সকাল দশটায় এই কর্মসূচির ডাক দিয়েছে ফেনীর নাগরিক প্ল্যাটফর্ম ‘আমরা ফেনীবাসী।’
আজ এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে সংগঠনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রতিবেশী রাষ্ট্র বরাবরই বাংলাদেশের সাথে পানি নিয়ে অপ্রতিবেশিসূলভ আচরণ করে আসছে। শুকনো মওসুমে প্রাপ্য পানি বাংলাদেশকে দেয়া হয় না, অন্যদিকে বর্ষা মওসুমে হুটহাট বাঁধ কেটে দিয়ে বা ড্যাম খুলে দিয়ে বন্যায় অপরিসীম ক্ষতির মুখে ফেলা হয়। এছাড়া অত্যন্ত সংগোপনে ফেনী নদী থেকে ভারতের পানি তুলে নেয়ার ফলে এ অঞ্চলের মানুষ কৃষিসহ সব ক্ষেত্রে মারাত্মক ক্ষতির মুখে পড়ছেন। এছাড়া জীববৈচিত্র্য দারুণভাবে ব্যহত হচ্ছে।
প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে আরো অভিযোগ করা হয়, এবারের বন্যার আগে ভারত থেকে কোন রকম পূর্বাভাস ছাড়াই বাঁধ কেটে এবং ড্যাম খুলে পানি ছেড়ে দেয়া হয়, যার ফলে গোটা ফেনী জেলা ১০ থেকে ১৫ ফুট পানিতে তলিয়ে যায়। বন্যার করাল গ্রাসে পতিত হয় কুমিল্লা- নোয়াখালী ও লক্ষীপুরের লাখো মানুষ। ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখা যায় ফেনী ও আশেপাশের এলাকার মানুষ এত পানি কখনো দেখেন নি। আমরা ফেনীবাসী স্পষ্ট করে বলতে চায়, এবারের বন্যা কোনভাবেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ নয় বরং ভারতের চাপিয়ে দেয়া।
তাই ফেনী ও পাশ্ববর্তী জেলাবাসীর পক্ষ থেকে সুস্পষ্ট দাবি, মানুষ হত্যা, পশু-পাখির জীবনহানি-ফসল ও অন্য সকল ক্ষয়ক্ষতির ক্ষতিপূরণ দিতে ভারতকে বাধ্য করতে হবে। এজন্য প্রয়োজনে জাতিসংঘের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে হবে। এছাড়া অভিন্ন সকল নদী থেকে ড্যাম তুলে দেয়া, শুকনো মওসুমে পানির ন্যায্য হিস্যা নিশ্চিত করা এবং অতিদ্রুত মুছাপুর ক্লোজার পুনর্নির্মাণসহ বিভিন্ন দাবিতে আগামী কাল স্ট্রাইক কর্মসূচি পালিত হবে।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করবেন, ফেনীর কৃতি সন্তান এবং প্রখ্যাত পরিবেশ ও জলবায়ু বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ড. কামরুজ্জামান মজুমদার। এছাড়া দেশের খ্যাতনামা বিশেষজ্ঞ, নাগিরিক সমাজের প্রতিনিধি, সাংবাদিক, ছাত্র-জনতাসহ সকল শ্রেনী পেশার মানুষ এতে যোগ দেবেন।
আপনার মতামত জানান