সোনারগাঁয় বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাঙচুর: থানায় অভিযোগ

প্রকাশিত




নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শ্রমিকলীগের কার্যালয়ে হামলা, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে সাবেক মহিলা মেম্বার জোহরা ও তার ভাইয়ের বিরুদ্ধে। শনিবার সকাল ৬ টার সময় এ হামলা ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কাঁচপুর লিল্পাঞ্চল জাতীয় শ্রমিকলীগ সভাপতি আব্দুল মান্নান মিয়া বাদি হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে আরও ৮/১০ জনকে অজ্ঞাত নামা আসামী করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, উপজেলার কাচঁপুর ইউনিয়নে কাচঁপুর শিল্পাঞ্চলে স্থানীয় সন্ত্রাসী কর্মকা- ও চাঁদাবাজির প্রতিবাদ করায় ক্ষিপ্ত হয়ে পূর্ব বেহাকৈর এলাকার আব্দুর রউফের ছেলে মো. জিয়াউর রহমান জিয়া(৩৬) ও তার বোন বাচ্চু মিয়ার স্ত্রী জহুরা বেগম (৪০) এর নেতৃত্বে কাঁচপুর সেনপাড়া এলাকার মৃত নূরু মিয়ার ছেলে বাবুল, আব্দুল হালিমের ছেলে রানা(৩০) ও নূর মোহাম্মদ(৪৫) এবং অজ্ঞাত ৮-১০ জন সন্ত্রাসী সঙ্গবদ্ধ হয়ে দেশীয় অস্ত্রে সজ্জিত হয়ে কাঁচপুর লিল্প অঞ্চল জাতীয় শ্রমিকলীগ অফিসে হামলা চালায়। এসময় অফিসের আসবাবপত্র ভাংচুর, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুর করা হয়।

কাঁচপুর শিল্পাঞ্চল শ্রমিকলীগের সভাপতি আ. মান্নান মিয়া জানান, উপজেলার কাঁচপুর ইউনিয়নের ৪,৫ ও ৬ নং ওয়ার্ডেও সাবেক মহিলা মেম্বার জোহরা ও তার ভাই জিয়াউর রহমান দীর্ঘদিন ধরে কাঁচপুর বাসষ্ট্যান্ডে পরিবহন চাঁদাবাজী সহ মাদক ব্যবসা করে আসছে। মাদক ব্যবসায় বাধা দিলে সে আমাকে নারী নির্যাতন, ধর্ষণচেষ্টা মামলা ও নানা রকম হয়রানীর হুমকি দেয়। তারই জের ধরে শনিবার সকালে আমাকে হত্যার উদ্দেশ্যে জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একদল সশস্ত্র সন্ত্রাসী আমার কার্যালয়ে হামলা চালায়। এ সময় আমাকে না পেয়ে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি নিচে ফেলে ভাংচুর করে এবং স্থানীয় এমপি কায়সার হাসনাতের ছবি ভাংচুর করে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসতে আসতে সন্ত্রাসী পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় সোনারগাঁ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।

অভিযুক্ত জোহরা বেগম পরিবহন চাদাবাজি নিয়ে তার সাথে পূর্ব বিরোধের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আমাকে ফাঁসানোর জন্য বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের নাটক সাজানো হয়েছে।

সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত (ওসি) এস এম কামরুজ্জামান বলেন, কাঁচপুর একটি দলীয় অফিসে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ছবি ভাংচুরের অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত শেষে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।


আপনার মতামত জানান