সোনারগাঁয় ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের হামলা, নারী সহ আহত-২

প্রকাশিত


নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁয় বৈদ্যেরবাজার ট্রলার ঘাটে বিডি ক্লিনের ৮ জন নারী সদস্যকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করায় কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাহুলের (১৭) নেতৃত্বে ২৫-৩০ জনের একটি কিশোর গ্যাং বাহিনী বিডি ক্লিনের সদস্যদের উপর দুই দফা হামলা চালিয়েছে। হামলায় বিডি ক্লিনের সদস্য হাসিবুল ইসলাম (২০) ও একজন নারী সদস্য মারাত্মকভাবে আহত হয়।

গত শুক্রবার (২৫ মে) সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে উপজেলার বৈদ্যেরবাজার ট্রলার ঘাটে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহতরা বর্তমানে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিডি ক্লিন সোনারগাঁ শাখার সমন্বয়ক কামরুজ্জামান রানা বাদি হয়ে আল আমিন, সৌরভ, রাহুল, তামিম, সিজান, প্রহর বর্মণ, রাসেল সহ অজ্ঞাত ১৪-১৫ জনকে আসামী করে সোনারগাঁ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে।
বিডি ক্লিনের সমন্বয়ক কামরুজ্জামান রানা জানান, গত শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ট্রলার দিয়ে নুনেরটেক (মায়াদ্বীপ) এলাকার ময়লা আর্বজনা পরিষ্কার করে ফিরে আসার সময় সন্ধ্যার আগে বৈদ্যেরবাজার ট্রলার ঘাটে নেমে গাড়ির জন্য অপেক্ষা করছিলাম। এ সময় সকল সদস্যদের গায়ে বিডি ক্লিনের লগো সম্বলিত টি শার্ট পরিহিত ছিল। সকলকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখে আল আমিন (১৯) নামে এক যুবক প্রথমে নারী সদস্যদের ইভটিজিং ও বিভিন্নভাবে তাদের উত্যক্ত শুরু করে। তাদের অশালিন আচরন দেখে বিডি ক্লিনের পুরুষ সদস্যরা প্রতিবাদ করলে, কিশোর গ্যাংয়ের লিডার রাহুলের নেতৃত্বে ২৫-৩০জনের একটি কিশোর গ্যাং তাদের উপর হামলা চালায়। এ সময় নারী সদস্য পিটিয়ে আহত ও শ্লীলতাহানী করে। নারী সদস্যকে রক্ষা করতে হাসিবুল ইসলাম এগিয়ে আসলে তাকেও পিটিয়ে মারাত্মভাবে আহত করে। আত্মরক্ষা করতে তারা একটি দোকানে প্রবেশ করলে সন্ত্রাসীরা দোকানে ঢুকে দ্বিতীয় দফায় হামলা চালায়।

পরে দোকান মালিক সহ আশপাশের মানুষ এগিয়ে এসে মারাত্মক আহতাবস্থায় তাদের উদ্ধার করে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

সোনারগাঁ থানার উপপরিদর্শক পঙ্কজ কান্তি সরকার বলেন, এ ঘটনায় একটি মামলা হয়েছে। ঘটনার রাতেই হামলাকারীদের মধ্যে সৌরভ (২৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে আজ সকালে জেলা আদালতে পাঠানো হয়েছে।

নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-সার্কেল) শেখ বিল্লাল হোসেন বলেন, ইভটিজিং ও হামলার ঘটনায় জড়িত বাকিদের গ্রেপ্তারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত আছে।

আপনার মতামত জানান