কুমিল্লার মেঘনায় দুই পক্ষে সংঘর্ষ, একজন নিহত

প্রকাশিত


কুমিল্লার মেঘনায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে একজন নিহত হয়েছেন। নিহতের নাম নিজাম সরকার (৪০)। তিনি চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম আহ্বায়ক ছিলেন। আজ সোমবার সকাল ৭টার দিকে মেঘনার চালিভাঙ্গা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।


নিহত নিজামের বাড়ি মেঘনা উপজেলার নলচর গ্রামে। তাঁর বাবার নাম মৃত আক্কাস মেম্বার।

এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ১০ জন। তাঁরা হলেন আনিস সরকার (১৮), টিটু সরকার (২৮), সুমন (২৫), দেলোয়ার (২৮), ইব্রাহিম (৩০), রমজান (৩৫), শাকিল (২২), খালেদ হাসান (১৯), হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)। আহতরা ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসাধীন।

কুমিল্লা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের আওয়ামী লীগ নেতা হুমায়ুন চেয়রাম্যান ও অপর আওয়ামী লীগ নেতা কাইয়ুম গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এর জেরে আজ সকালে উভয় পক্ষ সংঘর্ষে জড়ায়। সংঘর্ষে তারা দেশীয় অস্ত্র ব্যবহার করে। এতে ১০-১১ জন আহত হন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখানে হুমায়ূন গ্রুপের নিজাম সরকার নামের একজন নিহত হন।

খন্দকার আশফাকুজ্জামান আরও বলেন, এ ঘটনার পর এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

নিহত নিজামের স্ত্রী সালমা আক্তার ও ভাই সানাউল্লাহ সরকারের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সকালে চালিভাঙ্গায় আওয়ামী লীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষ বাধে। খবর শুনে বাড়ি থেকে ঘটনাস্থলে যান নিজাম। সেখানে প্রতিপক্ষের হাতে টেঁটাবিদ্ধ হন। নিজামসহ আহত সবাইকে ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে এলে চিকিৎসক নিজামকে মৃত ঘোষণা করেন।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ পরিদর্শক মো. বাচ্চু মিয়া জানান, কুমিল্লার মেঘনা থেকে অনেকেই টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হাসপাতালে এসেছেন। তাঁদের মধ্যে নিজাম নামে একজন মারা গেছেন। আহতদের জরুরি বিভাগে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তাঁদের কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর।

আপনার মতামত জানান