দুই তরুণকে ২৮ ঘণ্টা থানায় আটকে নির্যাতন, ওসি প্রত্যাহার
সুবর্ণচর প্রতিনিধি
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে জমি নিয়ে বিরোধের ঘটনায় দুই তরুণকে ধরে ২৮ ঘণ্টা থানায় আটকে রেখে নির্যাতনের খবর গণমাধ্যমে প্রকাশের পর চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশকে জেলা পুলিশ লাইনসে প্রত্যাহার করা হয়েছে। এর আগে গত শুক্রবার ওই দুই তরুণকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ।
ঘটনার আট দিন পর আজ রোববার তাঁকে প্রত্যাহার করা হয় বলে জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মো. শহীদুল ইসলাম জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘দুই ভাইকে নির্যাতনের অভিযোগের সঙ্গে এ বদলির কোনো যোগসূত্র নেই। এটা নিয়মিত বদলির অংশ।’
ভুক্তভোগীরা হলেন মো. পারভেজ (২৪) এবং তাঁর চাচাতো ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী হৃদয় (২০)। এঁদের মধ্যে মো. পারভেজ উপজেলার চরজুবলী ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী।
মো. পারভেজ বলেন, ‘গত শুক্রবার (৭ সেপ্টেম্বর) ধানখেতে হাঁস যাওয়াকে কেন্দ্র করে তার চাচা আবু জাফরের সঙ্গে প্রতিবেশী ইমাম উদ্দিনের বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই দিন বিকেলে আওয়ামী লীগ নেতা আবদুর রবের ইন্ধনে চরজব্বার থানার উপপরিদর্শক রফিক উদ্দিন আমাকে এবং চাচাতো ভাই এসএসসি পরীক্ষার্থী হৃদয়কে ধরে নিয়ে যায়। শুক্রবার সারা রাত থানার হাজতে আটকে রাখে। পরদিন শনিবার বেলা সোয়া ১টার দিকে থানার ওসি দেব প্রিয় দাশ তাঁর কক্ষে দুই ভাইকে লাঠি দিয়ে বেধড়ক পেটান। বিকেলের দিকে সাবেক ইউপি সদস্য রাসেল থানায় গিয়ে ২০ হাজার টাকা ও মুচলেকা দিয়ে আমাদের বের করে নিয়ে আসেন।’
পারভেজ আরও বলেন, ‘আমার শরীরে এখনো লাঠিপেটার দাগ আছে।’ তবে, অভিযোগ অস্বীকার করে চরজব্বার থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) দেব প্রিয় দাশ বলেন, ‘অভিযোগটি পুরোপুরি মিথ্যা।’
চরজুবিলী ইউপির সাবেক মেম্বার রাসেল বলেন, ‘বিষয়টি এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গের উপস্থিতিতে সালিস বৈঠকে মীমাংসা করা হবে। এই সিদ্ধান্ত মোতাবেক থানা-হাজত থেকে স্থানীয় যুবলীগ নেতা বিপ্লব ও পারভেজের চাচা শাহাদাতের জিম্মায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।
আপনার মতামত জানান