বার্গার! জটিল রোগ হওয়ার ঝুঁকি!
নতুন প্রজন্মের প্রিয় খাবার বার্গার। সেই বার্গারের আছে রকমফের। কোনোটা থাকে ক্রিসপি আবার কোনোটা গ্রিলড প্যাটির। সাথে থাকে সিঙ্গেল বা ডাবল চিজ। লেটুসপাতার গা ঘেঁষে মেয়োনেজ বেয়ে পড়া একটি বার্গারের আবেদন অগ্রাহ্য করার ক্ষমতা অনেকেরই নেই। কিন্তু একটি মাত্র বার্গারই শরীরের ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট।
জাঙ্ক ফুটে প্রচুর ক্যালরি, ফ্যাট, অতিরিক্ত সোডিয়াম থাকে। তাই এধরনের খাবার খেলে শরীরের ক্ষতি হতে পারে। একটি মাঝারি বার্গারে গড়ে ৫০০ ক্যালরি। যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তাদের জেনে রাখা ভালো যে ৫০০ ক্যালরি পোড়াতে প্রায় ১ ঘণ্টা দৌড়াতে হয়।
বার্গারে আরও আছে ২৫ গ্রাম ফ্যাট, ৪০ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ১০ গ্রাম চিনি এবং ১০০০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম থাকে। এই উপাদানগুলো আপনার শরীরে ক্ষতি করার জন্য যথেষ্ট। অর্থাৎ মাত্র একটি বার্গার খেলেও শরীরের ক্ষতি হয়।
বার্গারে প্রথম কামড় বসানোর পনেরো মিনিট পড়ে শরীরে গ্লুকোজের পরিমাণ বেড়ে যায়। এতে ইনসুলিন তৈরি হয়, যা আপনাকে কয়েক ঘণ্টা পরেই আবার ক্ষুধার্ত করে তুলবে। এভাবে নিয়মিত চলতে থাকলে ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দেয়। অতিরিক্ত ক্যালরি গ্রহণের কারণে শরীরের কোষগুলোতে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস তৈরি হয়।
বার্গারে প্রচুর স্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে। নিয়মিত বার্গার খেলে রক্তনালীগুলো দুর্বল ও সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। ফলে হৃদপিণ্ডের সমস্যা দেখা দেয় এবং হার্ট অ্যাটাকে মৃত্যুর ঝুঁকি বাড়ে।
তাই এরপর থেকে যখন বার্গার খেতে ইচ্ছে করবে, তখন এসব ক্ষতিকর দিকগুলোর কথা মনে করবেন। তাহলেই বার্গার খাওয়ার ইচ্ছা চলে যাবে।
আপনার মতামত জানান