একেএম মুজ্জাম্মিল হক এর সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড প্রকাশিত
ইতিহাস – ঐতিহ্য, লোকশিল্প – সংস্কৃতি, স্থাপত্যশৈলীর বর্ণনা এবং সোনারগাঁও ভ্রমনের পূর্ণাঙ্গ দিকনির্দেশনা নিয়ে প্রকাশিত হয়েছে ‘সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড’। ভ্রমণ গাইডের লেখক বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের (সোনারগাঁও জাদুঘর) রেজিস্ট্রেশন অফিসার একেএম মুজ্জাম্মিল হক।
বইটি সম্পর্কে লেখক বলেন, ইতিহাসের প্রাচীন নগরী সোনারগাঁও তথা বাংলার প্রাচীন রাজধানী শহরের স্মৃতিময় নাম সুবর্ণগ্রাম। কালের বিবর্তনে সুবর্ণগ্রাম এখন সোনারগাঁও। মসলিনখ্যাত নগরী হিসেবে সোনারগাঁওয়ের পরিচিতি বিশ্বব্যাপী। সোনারগাঁওকে চির জাগরূক করতে তথা দেশীয় সংস্কৃতির পুনরুজ্জীনে এ দেশের মাটি ও মানুষের শিল্পী শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৭৫ সালে বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। ইতিহাস – ঐতিহ্য, লোকশিল্প – সংস্কৃতি, স্থাপত্যশৈলীর পাদপীঠ সোনারগাঁও গুরুত্বপূর্ণ পীঠস্থান।
সোনারগাঁও পরিদর্শনে আগত অসংখ্য অনুসন্ধিৎসু পর্যটকের চাহিদার বিবরণ রয়েছে ২০০ পৃষ্ঠার চার রঙের সদ্য প্রকাশিত বইটিতে। ইতিহাস-ঐতিহ্যের প্রতি মানুষের আকর্ষণ চিরন্তন। এই আকর্ষণে ভ্রমণ পিপাসুদের এটি নিজস্বতাকে খুঁজে পেতে আন্দোলিত করবে।
বইটির ‘ভূমিকা’ লিখেছেন ভাষাসংগ্রামী আহমদ রফিক। বাংলাদেশ লোক ও কারুশিল্প ফাউন্ডেশনের সাবেক স্বনামধন্য পরিচালক জনাব বজলুর রহমান ভূঁইয়া লিখেছেন ‘প্রসঙ্গ কথা’ এবং জনাব শেখ আলাউদ্দিন ‘দুটি কথা’য় তাঁদের মূল্যবান অভিমত সংবলিত আশীর্বাদ লেখায় কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি।
মূলত শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অবদানকে চির স্মরণীয় করতে সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড প্রকাশ । একই সাথে এটি অনুসন্ধিৎসু ঐতিহ্যপ্রেমী মানুষের জন্য সোনারগাঁওয়ের স্থাপত্যশৈলী ও বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির সাথে নতুন প্রজন্মের সেতু বন্ধন।
ইতিহাস-ঐতিহ্যের স্মৃতিধন্য এ জনপদে বিচরণে যারা রোমাঞ্চিত হতে চান তাদের জন্য সামান্য নিবেদন। শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের অমর সৃষ্টি সোনারগাঁও জাদুঘরসহ প্রত্যন্ত অঞ্চলে বিক্ষিপ্তভাবে থাকা ইতিহাসের মূল্যবান সব স্থাপত্যের নিদর্শন অবলোকনে ভ্রমণপিপাসুদের অনুরোধ জানাই।
বাংলার সোনালি যুগের ঝর্ণাধারায় অবগাহন, স্থাপত্যকলার বিস্মৃতপ্রায় গোধূলিপথকে প্রদীপের উজ্জ্বল বর্ণচ্ছটায় আলোকিত করার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বইটির প্রকাশ। সোনারগাঁওয়ের মনোলোভা স্থাপত্যশৈলী পরিদর্শন করতে অপরিচিতির কারণে অনেককে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। কাঙ্ক্ষিত নিদর্শন অবলোকনে কেউ কেউ ব্যর্থও হন। এসব বিবেচনা করে পেশাগত সীমাবদ্ধতার মাঝেও লালিত স্বপ্ন বাস্তবে রূপান্তরিত করার প্রাণান্তকর প্রচেষ্টার পরিণত প্রকাশ ‘সোনারগাঁও ভ্রমণ গাইড’।
বইটি প্রকাশে সার্বিক সহযোগিতা করেন শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের কনিষ্ঠপুত্র প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন। তাঁকে বিনম্র কৃতজ্ঞতার সাথে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। তাঁর নিরন্তর উৎসাহ ও অনুপ্রেরণা না থাকলে আমার পক্ষে বইটি প্রকাশ করা সম্ভব হতো না।
আপনার মতামত জানান