কাতার বিশ্বকাপে ৬ মুসলিম দেশে

প্রকাশিত

প্রথমবারের মতো মুসলিম কোনো দেশে এবং সবচেয়ে ছোট দেশে শুরু হতে চলেছে বিশ্বকাপ ফুটবলের আসর। আগামীকাল থেকে শুরু হতে যাওয়া বৈশ্বিক এই প্রতিযোগিতায় অংশ নিচ্ছে ছয় মুসলিম দেশ। এগুলো হচ্ছে কাতার, সৌদি আরব, সেনেগাল, মরক্কো, ইরান ও তিউনিশিয়া। মুসলিম দেশ আগেও অংশ নিয়েছে। তবে আগের অর্জনগুলো তেমন উল্লেখযোগ্য না হলেও এবারের কাতার বিশ্বকাপে কোটি দর্শকের আস্থা অর্জন
করতে সোচ্চার।


সেনেগাল
ফুটবলে জায়ান্ট কিলার হিসেবে বেশ খ্যাতিমান পশ্চিম আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। সাদিও মানের দেশ সেনেগালের এটা তৃতীয় বিশ্বকাপ ফুটবল। তারা প্রথম বিশ্বকাপ ফুটবল খেলে ২০০২ সালে। প্রথমবারেই শেষ ষোলোয় পৌঁছে গিয়েছিল। দ্বিতীয় বিশ্বকাপে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিতে হয়েছে। এবার বিশ্বকাপে নামার আগেই বড় দুঃসংবাদ পেয়েছে দলটি। দলের সেরা তারকা সাদিও মানেকে পাচ্ছে না সেনেগাল। হঠাৎ চোটের কারণে বিশ্বকাপ স্কোয়াড থেকে বাদ পড়েছেন।

কাতার
১৯৭০ সালে বাহরাইনের মাটিতে প্রথম প্রতিযোগিতামূলক ফুটবল ম্যাচ খেলা কাতার ১৯৭৪ সালে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিল। কিন্তু বিশেষ কারণে প্রতিযোগিতা থেকে নিজেদের সরিয়ে নেয়। আয়োজক দেশ হিসেবে এবারই প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপ খেলতে নামছে মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটি। বিশ্বকাপ না খেললেও এশিয়ান কাপে কাতার একটি বড় নাম। ২০১৯ সালের চ্যাম্পিয়নও তারা।

সৌদি আরব
১৯৯৪ সালে প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের আঙিনায় পা রাখে। সেবার প্রি-কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে বিদায় নেয়। এরপর ১৯৯৮, ২০০২, ২০০৬ ও ২০১৮ তে বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করলেও প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় সৌদি আরব।

মরক্কো
এর আগেও পাঁচবার বিশ্বকাপে খেলেছে মুসলিম এই দেশটি। ১৯৭০ সালে মরক্কো প্রথমবার বিশ্বকাপে খেলে। সেবার গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নেয় তারা। ১৯৮৬ সালে মরক্কো উঠেছিল শেষ ষোলোতে। পরে ১৯৯৪, ১৯৯৮ ও ২০১৮ সালের বিশ্বকাপে মরক্কোকে দেখা গেলেও প্রতিবারই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয় উত্তর আফ্রিকার এই দেশটি।

ইরান
রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতায় উত্তাল ইরান অংশ নিচ্ছে কাতার বিশ্বকাপেও। ফুটবলে এশিয়ার অন্যতম শক্তিশালী দল হিসেবে তাদেরকে গণ্য করা হয়। এ পর্যন্ত তিনবার এশিয়ান কাপ এবং চারবার এশিয়ান গেমস ফুটবলে স্বর্ণপদক পেয়েছে। ছয়টি বিশ্বকাপে খেলা ইরান ১৯৭৮ সালে আর্জেন্টিনার মাটিতে প্রথম বিশ্বকাপ খেলে। এরপর আরো পাঁচটি বিশ্বকাপে অংশ নিলেও কোনোবারই গ্রুপ পর্ব পার হতে পারেনি আলি দাইয়ের ইরান।

তিউনিশিয়া
আফ্রিকান দেশ তিউনিশিয়া ষষ্ঠবারের মতো অংশ নিচ্ছে বিশ্বকাপে। নেশন্স কাপের অন্যতম সেরা নাম হলেও বিশ্বকাপের প্রতি আসরেই গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নিয়েছে। ইরানের মতো তিউনিশিয়াতেও দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতা চলছে। শুধু ফুটবলে ভালোবাসার কারণে এবারও বিশ্বকাপে আছে দেশটি।

আপনার মতামত জানান