দৌড় দিলেন ওসি
কিশোরগঞ্জের ভৈরব পৌর শহরের জগন্নাথপুর সেতু এলাকায় হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গাড়িতে থাকা বাক্সে মাদক থাকতে পারে সন্দেহে নিজে একটি বাক্স খোলেন। বাক্স খুলতেই একটি সাপ তার দিকে ফণা তোলে। এ সময় বাক্স ফেলে সেখান থেকে দৌড়ে চলে যান তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ জানুয়ারি) সকালে ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের ওই এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। পরে বিশেষ কৌশলে সাপটিকে বাক্সবন্দী করে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। এদিকে সাপ উদ্ধারের এমন সংবাদ পেয়ে ঢাকার বন অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এদিকে সাপ পাচারের অভিযোগে ব্যক্তিগত গাড়ির চালককে আটক করে পুলিশ।
আটককৃত ব্যক্তি সাভারের আশুলিয়ার খেজুরটুক গ্রামের খোরশেদ মিয়ার ছেলে মাসুদ রানা।
জানা গেছে, ওই এলাকায় হাইওয়ে পুলিশ প্রায় অভিযান চালায়। মঙ্গলবারও (২৫ জানুয়ারি) তারা নিয়মিত অভিযান চালাচ্ছিল। এ সময় একটি গাড়ি দেখে তাদের সন্দেহ হয়। কারণ গাড়িতে চালক ছাড়া আর কেউ ছিলেন না।
এদিকে গাড়িটি থামানোর পর বাক্সে কী আছে। চালকের কাছে জানতে চাইলে চালক কিছু বলতে পারেননি। এ কারণে সন্দেহ আরও বাড়ে। এ সময় হাইওয়ে থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোজাম্মেল হোসেন একটি বাক্স খুলে দেখতে যান। পরে বাক্স খুলতেই ওসির দিকে ফণা তুলে একটি সাপ। এ ঘটনায় বন্য প্রাণী সংরক্ষণ আইনে চালক মাসুদ রানাকে আসামি করে একটি মামলা হয়েছে।
ঢাকার বন অধিদপ্তরের সরীসৃপবিদ মো. সোহেল রানা জানান, ৭টি বাক্সের মধ্যে ৪টিতে খৈয়া গোখরা সাপ রয়েছে। সাপগুলো বিষধর। এগুলো জঙ্গলে থাকে। এই সাপের কামড়ে মানুষ মারা যেতে পারে। অপর তিনটির মধ্যে দুটি দাঁড়াশ, একটি পদ্ম গোখরা সাপ রয়েছে।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোজাম্মেল হোসেন বলেন, উদ্ধারকৃত সাপগুলো পাচারের জন্য আনা হয়েছিল। এ ঘটনায় গতকালই চালককে কিশোরগঞ্জ আদালতে পাঠানো হয়েছে। আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন।
আপনার মতামত জানান