রিকশাচালককে মারধর, চীনা নাগরিককে গণধোলাই

প্রকাশিত

ভাড়া নিয়ে তর্কের জেরে রাজধানীর উত্তরায় এক রিকশাচালককে মারধর করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় এক চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার (৪ ডিসেম্বর) আদালত তাঁকে জেলহাজতে পাঠিয়েছেন। এই মামলায় আসামি আরও দুজন চীনা নাগরিক পলাতক রয়েছেন। তাঁদের খুঁজছে পুলিশ। উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের জমজম টাওয়ারের পাশের রাস্তায় শুক্রবার বিকেলে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার দিন বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে দুই চীনা নাগরিককে এক রিকশা চালককে মারধর করতে দেখে সাধারণ মানুষ। এরপর তাঁদের গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়।

ভুক্তভোগী রিকশাচালক মিজানুর রহমান বাদী হয়ে উত্তরা পশ্চিম থানায় ওই রাতেই মামলা করেছেন। এ মামলায় ইউ হাও (৩৬) নামের এক চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ মামলার আরও জেকি (৪০) ও ওয়েই (৫৪) নামে আরও দুই চীনাকে আসামি করা হয়েছে। তাঁরা দুজন পলাতক রয়েছেন। শনিবার সকালে ইউ হাওকে ঢাকার সিএমএম আদালতে পাঠালে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরের ১৫ নম্বর রোড থেকে জমজম টাওয়ারের সামনে তিন চীনা নাগরিককে নিয়ে আসেন রিকশাচালক মিজানুর রহমান। ইউ হাও তাঁকে ২০ টাকা ভাড়া দেন। রিকশাচালক মিজানুর রহমান ৩০ টাকা ভাড়া দাবি করলে বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে ইউ হাও তাঁকে লাথি মেরে রাস্তায় ফেলে মারধর করতে থাকেন। বিষয়টি দেখে সাধারণ জনগণ এগিয়ে গেলে ইউ হাও ছুরি বের করে রিকশাচালকের হাতে আঘাত করেন। তখন উত্তেজিত জনতা তাঁদের গণধোলাই দেয় এবং হাওকে পুলিশে সোপর্দ করেন। এই ফাঁকে বাকি দুজন পালিয়ে যান।

এ বিষয়ে উত্তরা পশ্চিম থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নিয়াজ মোহাম্মদ শরীফ বলেন, ‘উত্তরা ১৩ নম্বর সেক্টরে ভাড়া নিয়ে তর্ক-বিতর্কের জের ধরে চীনা নাগরিকেরা এক রিকশাচালককে মারধর করেন। বিষয়টি উপস্থিত জনতা দেখতে পেয়ে একজনকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করে। ভুক্তভোগী রিকশাচালক তাঁকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারধর করার অভিযোগে একটি মামলা করেছেন। ওই মামলায় এক চীনা নাগরিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পলাতক বাকি দুই চীনাকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

আপনার মতামত জানান