জামপুরে নৌকার সমর্থকদের উপর গুলি, আহত ২০
জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় নৌকার প্রার্থী ও তার কর্মী সমর্থকদের লক্ষ্য করে গুলি করাকে কেন্দ্র করে নৌকা ও লাঙ্গলের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আগামী ২৮ নভেম্বর সোনারগাঁ উপজেলার ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। পরিস্তিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৮/১০ রাউন্ড ফাঁকাগুলি ছুড়ে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী এলাকাবাসীরা জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে উপজেলার জামপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী হুমায়ন কবির ভ’ঁইয়া জামপুরের সাইদুর মার্কেটে গণসংযোগকালে একজন অস্ত্রধারী তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করার সময় এলাকাবাসী দেখে ফেলে। এ সময় অস্ত্রধারীকে একটি পিস্তলসহ আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। জাতীয় পার্টির সন্ত্রাসীরা নৌকার চেয়ারম্যান প্রার্থীকে গুলি করেছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়লে জাতীয়পাটি সমর্থিত চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া মাকসুদ তার নেতাকর্মীদের নিয়ে বস্তল এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় উত্তেজিত নৌকার সমর্থকরা মাকসুদের গাড়ীর পথরোধ করে হামলা চালিয়ে ভাংচুড় করে।
অন্যদিকে লাঙ্গলের চেয়ারম্যান প্রার্থীর উপর হামলার খবর পেয়ে বস্তল এলাকায় ঘটনাস্থলে পৌছে লাঙ্গলের সমর্থকরা অস্ত্র নিয়ে নৌকার সমর্থকদের লক্ষ্য করে আরেকদফা গুলি বর্ষণ করেন। এতে হুমায়ুন কবির ভুইয়ার সমর্থকরা জাতীয় পার্টির প্রার্থী আশরাফুল ইসলাম ভুইয়া মাকসুদের সমর্থকদের উপর ফের হামলা চালালে দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে অস্ত্রধারীসহ দুপক্ষের ১৫জন নেতাকর্মী আহত হন। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৮/১০ রাউন্ড রাবার বুলেট ছুড়ে। অন্যদিকে মাকসুদ আলমের লোকজন পাকুন্দা এলাকায় নৌকার কয়েকটি ক্যাম্প ভাংচুর করে। একই ঘটনায় চারবার হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনার পর বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
এ ব্যাপারে নৌকার প্রার্থী হুমায়ন কবির জানান, আমি সাইদুর মার্কেটের সামনে গণসংযোগকালে একজন অস্ত্রধারী আমাকে পিস্তল তাক করে গুলি করার সময় এলাকাবাসী দেখে ফেলে। তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। অপরদিকে বস্তল এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মাকসুদের বহিরাগত সন্ত্রসীরা গুলি বর্ষণ করে।
সংঘর্ষের ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর ইসলাম জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৮/১০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। অস্ত্রধারী পারভেজকে মুমুর্ষ অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জামপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আপনার মতামত জানান