৪০০ জনের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ অন্তঃসত্ত্বা কিশোরীর
এক কিশোরীর ওপর নারকীয় অত্যাচারের অভিযোগ উঠেছে ভারতের মহারাষ্ট্রের বীড জেলায়। গত ছয় মাস ধরে চার শতাধিক ব্যক্তি ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ ১৬ বছরের এক কিশোরীর। ওই কিশোরীর দাবি, থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েও এক পুলিশকর্মীর লালসার শিকার হতে হয়েছে তাকে। বর্তমানে ওই নির্যাতিতা কিশোরী দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা।
চলতি সপ্তাহে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে থানায়। বীড জেলার পুলিশ সুপার রাজা রামাস্বামী জানিয়েছেন, নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগে তিনজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে।
রোববার (১৪ নভেম্বর) রাজা বলেছেন, ‘নির্যাতিতার অভিযোগের ভিত্তিতে শিশু বিবাহ, ধর্ষণ, যৌননিগ্রহ এবং পকসো আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। গত ছয় মাসে ৪০০ জন পুরুষ নাবালিকাকে ধর্ষণ করেছে বলে অভিযোগ। এক পুলিশকর্মীও ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্ত। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।’
নির্যাতিতা নাবালিকার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, তার মা মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। আট মাস আগে তার বাবা বিয়ে দিয়ে দেন। নাবালিকার অভিযোগ, শ্বশুরবাড়ির লোকেরা তাকে মারধর করে। খারাপ ব্যবহার করে। সেখান থেকে পালিয়ে বাবার কাছে ফিরে এসেছিল সে। কিন্তু বাবা আশ্রয় দেননি। তার পর বীড জেলার আম্বাজোগাই বাসস্ট্যান্ডে বাধ্য হয়ে ভিক্ষা চাইতে শুরু করে সে। এই সময় থেকেই তার ওপর অত্যাচার শুরু হয়েছিল বলে জানিয়েছেন ওই নাবালিকা।
এক শিশু অধিকার রক্ষা কমিটিকে নাবালিকা বলেছে, ‘বহু লোক আমাকে নির্যাতন করেছে। আমি অনেকবার আম্বাজোগাই থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছি। কিন্তু অপরাধীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। এক পুলিশকর্মীও আমার ওপর অত্যাচার করেছে।’ সবশেষে এ সপ্তাহে দায়ের হয়েছে অভিযোগ। যদিও গ্রেপ্তার হয়েছে মাত্র তিনজন।
সূত্র: আনন্দবাজার।
আপনার মতামত জানান